উচ্চ প্রাথমিকের ইন্✅টারভিউ তালিকা নিয়ে ক্রমেই বিক্ষোভ অসন্তোষ বাড়ছে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে। এদিন বহু চাকরিপ্রার্থীর তরফে অভিযোগ করা হল যে পুরোনো বাতিল হওয়া মেধা তালিকা তাঁদের নাম থাকলেও🏅 নতুন তালিকাতে তাঁদের নাম নেই। এই অভিযোগ করে স্কুল সার্ভিস কমিশনের দফতরের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শনও করেন চাকরিপ্রার্থীরা। এদিকে এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে কোনও কিছু বলা হয়নি এখনও। এদিকে ইতিমধ্যেই নয়া তালিকার বিরুদ্ধে অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের তরফে।
মামলাকারীদের বক্তব্য, এর আগে স্কুল সার্ভিস কমিশন যে তালিকা প্রকাশ করেছিল, সেখানে প্রার্থীদের নম্বর উল্লেখ করা ছিল না। সেই প্রক্রিয়া বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আবার প্রার্থীদের নম্বর না দিয়ে কেন ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ করা হল? বহু চাকরিপ্রার্থী জানাচ্ছেন, তাঁদের নম্বর বেশি থাকা সত্ত্বেও তাঁরা সুযোগ পাননি। অথচ যাঁদের নম্বর কম, তাঁদের নাম ইন্টারভিউ তালিকায় আছে। পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে রিজার্ভ ক্যাটেগরিতে যাঁদের নাম থাকার কথা নয়, তাঁদের নাম তালিকায় রিজার্ভ ক্যাটেগরিতে রয়েছে। পাশাপাশি এর আগে এসএসসি বলেছিল, তারাꦦ আপডেটেড ভ্যাকেন্সি দিয়ে নিয়োগ করবে। কিন্তু আপার প্রাইমারিতে যে নিয়োগ-প্রক্রিয়া হচ্ছে সেটা ২০১৪ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া, ১৪ হাজার শূন্যপদ। এই সাত-আট বছরে তাহলে কি একটিও নতুন শূন্যপদ তৈরি হয়নি?
প্রসঙ্গত, উচ্চ প্রাথমিকে প্🗹রায় কুড়ি হাজার শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছিল ২০১৬ সাল থেকে। কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একাধিক অস্বচ্ছতা রয়েছে মনে করে ২০২০ সালের ১১ ডিসেম্বর উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে নতুন করে শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। তবে নতুন সেই তালিকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। মামলাকারীদের দাবি, কম নম্বরের প্রার্থীদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণের চূড়ান্ত অভিযোগ উঠেঠে এই নয়া তালিকা নিয়ে। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে আদালত এর আগে নির্দেশ দেওয়ার সত্ত্বেও প্রার্থীদের যে ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে কোনও নম্বরের উল্লেখ করা হয়নি।
স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রে খবর যে তারা বিভিন্ন প্রার্থীদের অভিযোগ গ্রহ𒅌ণ করছে। কিন্তু বেশ কিছু চাকরিপ্রার্থীর অভিযোগ স্কুল সার্ভিস কম꧙িশনের তরফে যে ফোন নম্বরে অভিযোগ দায়ের করার কথা জানানো হয়েছিল বেশিরভাগ সময়ে সেই ফোন নম্বরে কাউকে পাওয়াই যাচ্ছে না।