ꦗ বর্ধমান কর্ড লাইনে একই ট্র্যাকে চলে এল বন্দে ভারত এবং লোকাল ট্রেন। এই ঘটনাটি ঘটেছে শিবাইচন্ডী স্টেশনের কাছে। ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারপরেই অবশ্য মুখ খুলেছে পূর্ব রেল। দুই ট্রেনের একই লাইনে মুখোমুখি হওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে রেলের দাবি, এটা স্বাভাবিক ঘটনা। রেল জানায়, স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল জোনে বিশেষ পরিস্থিতিতে দু'টি ট্রেন একই লাইনে আসতে পারে। এর জেরে দুর্ঘটনার কোনও আশঙ্কা নেই।
☂রিপোর্ট অনুযায়ী, হাওড়া থেকে কামারকুন্ডু হয়ে গুড়াপগামী ৩৬০৭১ নং লোকাল ট্রনটি স্টেশনে ঢোকার মুখে হোম সিগন্যালে দাঁড়িয়ে ছিল। আর সেই সময় হাওড়া স্টেশন ছেড়ে যাওয়া এনজেপিগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসটি শিবাইচন্ডীর স্টেশনের হোম সিগন্যালের কাছে চলে আসে। ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিার সকাল ৬টা ২০ মিনিট নাগাদ। একই ট্র্যাকে দু'টি ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকার ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারপরই পূর্ব রেলের তরফ থেকে বলা হয়, ভিডিয়োটি সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে যাত্রীদের অযথা ভয় দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে।
♈এই প্রসঙ্গে ডিআরএম সঞ্জীব কুমার বলেন, 'অটো সিংগন্যাল জোনে বিশেষ পরিস্থিতিতে এভাবে দু'টি ট্রেন একই ট্র্যাকে থাকতে পারে। নির্দিষ্ট দূরত্বে ট্রেনগুলিকে পিছনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। অটোমেটিক সিংন্যাল থাকায় একটি ট্রেন অন্য ট্রেনের একদম কাছাকাছি আসতে পারবে না। এর থেকে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে না।' এদিকে এই ভাইরাল ভিডিয়ো প্রসঙ্গে হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'দেশে একের পর এক ট্রেন দুর্ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। রেলের কোথাও না কোথাও ত্রুটি তো রয়েইছে। সুরক্ষা নিয়ে রেলের আরও সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।'
ꦬউল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে দেশ জুড়ে একাধিক রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। যার জেরে রেলের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্নের মুখে রেলের সিগন্যালিং ব্যবস্থাও। প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুন ফাঁসিদেওয়ার রাঙাপানির কাছে দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল শিয়ালদাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। সেদিন সকালে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ধাক্কা মেরেছিল মালগাড়ি। তার জেরে মালগাড়ির লোকো পাইলট-সহ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনাতেও রেলের সিগন্যালিং ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এরপর গত ১৮ জুলাই উত্তরপ্রদেশের গোন্দায় অসমগামী ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়.। সেই দুর্ঘটনাতেও একাধিক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছিল। এদিকে গত মঙ্গলবারই ঝাড়খণ্ডের চক্রধরপুরের রাজখরসাওয়ান এবং বরাবাম্বুর মধ্যে লাইনচ্যুত হয়ে যায় ১২৮১০ হাওড়া-ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস এক্সপ্রেস। তার জেরে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন। আবার সম্প্রতি ফাঁসিদেওয়ার রাঙাপানিতেই লাইনচ্যুত হয় আরও একটি মালগাড়ি।