বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর মৃত্যুতে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীক🐻ে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন অনামিকা সিংহ নামে ওই ছাত্রী। তদন্তে নেমে প্রাথমিকভ༒াবে পুলিশের অনুমান, তাঁকে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছিল। আর সেই কারণেই তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি জানতে পারে পুলিশ। এখন কে হুমকি দিচ্ছিল তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: বিশ্ব🃏ভারতীর হস্টেলে ভিন 🔴রাজ্যের ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু, কারণ জানতে তদন্তে পুলিশ
জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে এক ব্যক্তি অনামিককে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘টাকা জোগাড় করুন না হলে কি হবে বুঝতে পারবেন।’ তাই নিয়ে ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, অনামিকা সিংহ তাঁর বোনের দুর্ঘটনার কথা জানিয়ে সহপাঠী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপ💯কদের কাছ থেকে টাকা সাহায্য চেয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন তাঁর বোনের দুর্ঘটনার জন্য টাকা ৫ লক্ষ টাকা প্রয়োজন।কিন্তু, তদন্তকারীরা জানতে পারেন তাঁর বোনের কোনও দুর্ঘটনা হয়নি। তাহলে তার পিছনে কী কারণ ছিল? তা অনুসন্ধান করতে গিয়েই এই তথ্য জানতে পারে পুলিশ।জানা গিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট♈ে ওই ব্যক্তি হুমকি দিয়ে টাকা জোগাড় করতে বলেছিল। পালটা অনামিকা লেখেন, ‘আপনি কি হুমকি দিচ্ছেন? কী করবেন আপনি?’ উত্তরে সেই ব্যক্তি কথোপকথন জানায়, ‘তাড়াতাড়ি জেনে যাবেন। অপেক্ষা করুন।’
পুলিশ জানতে পেরেছে, যে ৫ লক্ষ টাকার কথা বলেছে ইতিমধ্যেই সেই টাকা জোগাড় করে ফেলেছিলেন অনামিকা। তবে তাঁর অ্যাকাউন্টে টাকা ছিল না। টাকা পাঠানো হয়েছিল অন্য দুটি অ্যাকাউন্টে। এবার কার অ্যাকাউন্টে কেন টাকা পাঠানো হয়েছিল? কেনই বা তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল? এখন সেই প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, প্রথমে ৪ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা জমা করেন অনামিকা। পরে বাকি পরে ৭০ হাজার টাকা তিনি জোগাড়ও করে ফেলেন। তারপরও কেন তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল? তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। সহপাঠীদের বক্তব্য, বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতীর শিল্প🧔 সদনের হস্টেলে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন অনামিকা। তিনি জানান, যে বিষ খেয়েছেন। তখন তড়িঘড়ি তাঁকে বিশ্বভারতীর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বোলপুরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।