সোজা পথে কিছুতেই কাজ হচ্ছিল না। কিন্তু নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে রাজ্যের নানা পুরসভার নাগরিক পরিষেবায় খারাপ পারফরম্যান্স নিয়ে ধমক দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। সেখানে সব থেকে পিছিয়ে রয়েছে শান্তিপুর পুরসভা। তাই জুটেছে কড়া ধমক। তারপরই প্রায় ৭৫ কোট🦩ি টাকার ডিপিআর তৈরি করে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে পাঠিয়েছে শান্তিপুর পুরসভা। এই কাজ সম্পন্ন হ🌊লে নতুন জলের সংযোগ পাবেন ২১ হাজারের বেশি পরিবারের সদস্যরা। মিটবে জলকষ্ট এবং শান্তিপুরে ফিরবে শান্তি। এবার দ্রুত জল পৌঁছে দিতে কাজ শুরু করতে চাইছে শান্তিপুর পুরসভা।
এই শান্তিপুরে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ারꦓ কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। তখন ৬০০০ পরিবার তা পেয়েছিল। তারপর সাড়ে ৬ বছরে আরও ২১ হাজার পরিবারকে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু সংখ্যা বাড়লেও ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের ক্ষমতা, ওভারহেড রিজার্ভার এবং বুস্টার পাম্পের সংখ্যা একই থেকে গিয়েছে। তার জেরে নানা ওয়ার্ডে সারাদিন কল খুলে রাখলেও জল পড়ছে না। এই বিষয়ে অভিযোগ তুলেছেন ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। এখানকার বাসিন্দারা একবেলাও ভাল করে জল পান না বলে অভিযোগ। তাই মঙ্গলবার জলের কলের সামনে ✤বালতি রেখে মহিলারা বিক্ষোভ দেখান।
আরও পড়ুন: বসিরহাটের সাংসদ হাজি নুরুলের বিরুদ্ধে মামলা, কলকাতা হাইকোর্ꦯটে বিজেপির রেখা
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই খবর পান এলাকার কিছু বাসিন্দাদের কাছ থেকে। তারপরই শান্তিপুর পুরসভাকে ভর্ৎসনা করেন তিনি। তারপরই স্থানীয় বাসিন্দা নয়নতারা মজুমদার, বাসনা শীল, সীমা দেবনাথরা অভিযোগ করেন, বাড়িতে জলের সংযোগ🔯ের জন্য শান্তিপুর পুরসভাকে প্রায় ১৬ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। আগে ঠিকঠাক জল মিলত। কিন্তু চার মাস ধরে জল পাওয়া যাচ্ছে না। বরং এই পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। শান্তিপুর পুরসভার দাবি, কয়েকটি ওয়ার্ডে জলেಞর সরবরাহ বাড়াতে নতুন পাইপলাইন বসাতে হবে। ওয়ার্ডগুলি রেললাইনের ধারে হওয়ায় রেলের এনওসি দরকার। কিন্তু তা পাওয়া যাচ্ছে না।