হাতে আর বাকি ১০ দিন। তারপরই বাংলার মানুষ উৎসবে মেতে উঠবেন। এখন থেকেই দুর্গাপুজোর শপিং শুরু হয়ে গিয়েছে। সুতরাং বাংল🎀ার মানুষ যে উৎসবে ফিরেছেন সেটা এখনের ভিড় দেখলেই বোঝা যাচ্ছে। সেখানে উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই আবহে সেখানে মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, রবিবার দু’দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলা নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় পর্যালোচনা বৈঠক করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গাপুজোর আগে উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি ও দুর্গতদের পাশে থাকার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রত্যেকটি দফতরকে নিজের নিজের কাজ বুঝিয়ে দেন তিনি। এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মানুষকে পরিষেবা দেওয়াই যে ‘অগ্রাধিকার’ সেই বার্তাও দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে পাহাড় থেকে সমতল সর্বত্র খারাপ পরিস্থিতির খবর নেন ম🉐ুখ্যমন্ত্রী। বিধান মার্কেট পুড়ে যাওয়া নিয়ে পদক্ষেপ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী গজলডোবায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যাঁরা মারা গিয়েছিলেন তাঁদের কথাও ভেবেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘গজলডোবায় বিদ্যুৎ সম্পর্কে তাঁদের ধারণা ছিল না। বিদ্যুৎস্পৃস্ট হয়ে মারা যান চারজন। তাঁদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হল। একটা পরিবারের চারজন মারা গিয়েছেন। আজ আমরা বন্যায় প্লাবিত হতে পারে ও হয়েছে সেই জায়গাগুলি নিয়ে মিটিং করলাম। সবাইকে অনুরোধ করব তার টানবেন না। বিধান মার্কেটে ৬টা দোকান পুড়ে গিয়েছে। গৌতম দেবকে বলেছি নতুন করে তৈরি করে দিতে। দুর্গাপুজোর সময় পুড়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের পক্ষ থেকে ১ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। আর অল্প ক্ষতিদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: দীর্ঘ তিন বছর পর বাড়তে চলেছে বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি, কবে–কতটা বাড়বে? জানুন
অন্যদিকে প্রশাসনের সর্বস্তরে বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে দলের নেতাদেরও মানুষের পাশে দাঁড়াতে নির্দেশ দেন তিনি। তবে কারও নাম করে কিছু বলেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘একদিকে দুর্গাপুজো। অপরদিকে বন্যার ফাঁড়া। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে মানুষের পাশে থাকতে হবে। দুর্গাপুজো বলে বন্যাꦗ ত্রাণের কাজে মানুষের পাশ থেকে সরে গেলে চলবে না। এটিও একটি সেবা। বন্যাত্রাণে মানুষের পাশে অবশ্যই দাঁড়াতে হবে। সব জেলাশাসকদের বলেছি, যাঁরা জনপ্রতিনিধি আছেন সবাইকে অ্যালার্ট করা হয়েছে। ৬ লক্ষ কিউসেক জল ছেড়েছে। কোশী নদীর জল গজল, ইটাহার, মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর, সুতি, ভগবানগোলা, মুর্শিদাবাদেও পড়েছে। জেলার সবার সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। বন্যাত্রাণ দেওয়ার পাশাপাশি যাঁদের ফসল নষ্ট হয়েছে, শস্যবিমার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। গ্রামীণ রাস্তা যাঁরা বিধায়ক–সাংসদ আছেন এবার তাঁরা করবেন।’
এছাড়া বাংলার প্রতি অবহেলার অভিযোগে কেন্দ্রীয় সরকার ও ডিভিসিকে তুলোধনা করেছেন মুখ্যমন্ত্🦹রী। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘কেন্দ্রীয় সরকার বন্যায় আমাদের এক পয়সাও দেয় না। যদিও বন্যা নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ কেন্দ্রের অধীনে। কেন্দ্র ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট টাকা দেয় না। ফরাক্কা ব্যারেজ ড্রেজিং করে না। তাহলে আরও জল ধরে রাখতে পারত। দুর্গাপুজো ব⭕লে মানুষের কাছ থেকে দূরে সরে যাওয়া যাবে না। পাশে থাকতে হবে। বাংলা সব সময় বঞ্চিত। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য।’