মহারাষ্ট্রে চলছে বিধানসভা নির্বাচন পর্ব। এদিন সকাল থেকেই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে তারকা সমাবেশ। ভোট দিয়েছেন রণবীর কাপুর, শ্রদ্ধা কাপুর, অক্ষয় কুমার, গোবিন্দারা। লাগাতার প্রাণে মারার হুমকির মাঝেই সলমন খান এদিন ভোট দিতে প্রকাশ্যে আসবেন ক💧িনা, সেই নিয়ে জল্পনা চলছিল। অভিনেতার পরিবারের সদস্যরা দুপুর দুপুরও ভোটদান পর্ব সেরে ফেলেছিলন।
বান্দ্রার ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে দেখা মেলে সেলিম খান, আরবাজ খানদের। বিকালে পৌঁছালেন সলমন। নিশ্ছিদ্ꦦর নিরাপত্তার মধ্যেই নিজের নাগরিক দায়িত্ব পালনে পৌঁছান তারকা। পরনে ধূসর টিশার🐻্ট আর নীল ডেনিম। মাথায় কালো টুপি, রোদ চশমা।
বান্দ্রার সম্পূর্ণ মহিলা পরিচালিত ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ভোট দেন ভাইজান। গাডꦫ়ি থ𒁏েকে সটান ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করেন সলমন। বেরিয়ে আসার সময় জড়ো হওয়া ফ্যানেদের উদ্দেশ্যে ছুড়ে দিলেন ফ্লায়িং কিস।
এদিন সলমনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মুম্বই পুলিশের তরফে নেওয়া হয়েছিল কড়া বন্দোবস্ত। ছিল হাই-টেক ড্রোন, কমান্ডো। ২৮৮ আসনের রাজ্য বিধানসভার জন্য নির্বাচন চলছে। সকাল ৭টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে স𝔍ন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। মহারাষ্ট্রে ম্যাজিক ফিগার হল ১৪৫।𒅌 যে দল বা জোট এককভাবে ১৪৫-র গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলবে, সেই দল বা জোট সরকার গঠন করবে।
বাবা সিদ্দিকির হত্যার পর সলমন খানের নিরাপত্তা রাতের ঘুম উড়িয়েছে মুম্বই পুলিশের। সলমনকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে লাগাতার অজ্ঞাত পরিচয় নম্বর থেকে মেসেজ বা ফোন এসেছে পুল🌠িশের কাছে। কখনও ৫ কোটি কখনও ২ কোটি টাকা দাবি করা হয়েছে, সলমনের প্রাণের বিনিময়ে। দীর্ঘদিন ধরেই বিষ্ণোই গ্যাং-এর নিশানায় রয়েছেন সলমন। তাই হাই অ্যালার্ট🃏ে রয়েছে মুম্বই পুলিশ থেকে সলমনের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীরা।
গতꦯ এপ্রিল মাসে দুই মোটরবাইক আরোহী সলমনের বান্দ্রার গ্যালাক্সি অ্য়াপার্টমেন্ট লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল। তারপর থেকেই অভিনেতার নিরাপত্তা ঘিরে তৎপর মুম্বই পুলিশ। সেই মামলাতেও নাম জড়ায় বিষ্ণোই গ্য়াং-এ🦹র।
এদিন ভোট দিয়েছেন, রাজকুমার রাও, অভ🌌িনেতা-পরিচালক ফারহান আখতার, তাঁর পরিচালক-প্রযোজক বোন জোয়া আখতার, বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শুভা খোটে এবং তাঁর মেয়ে ভাবনা বালসাভার। জনগণকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাজকুমার রাও। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রে ভোট দেওয়া আমাদের অধিকার, তাই মহারাষ্ট্রের নাগরিকদের বলব বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এসে ভোট দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি। এবার আপনাদের পালা, দয়া করে ভোট দিন, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ’।