আজ, সোমবার পূর্ব বর্ধমানের বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শন করার পর ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা শস্যবিমার টাকা পাবেন। যাদের মাটির বাড়ি ধসে গিয়েছে, সেগুলি সমীক্ষা করে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বন্যা পরিস্থিতিতে সরকারি অফিসারদের সক্রিয়ভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ছুটি বাতিল করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্ধমানে বন্যা পরিস্থিতি দেখে প্রশাসনিক বৈঠকে করতে দূর্গাপুর হাইওয়ে দিয়ে যাবার পথে সিঙ্গুর রতনপুরে গাড়ি দাঁড় করিয়ে কথা 🍒বলেন রাজ্যের কৃষি বিপণন ও পঞ্চায়েত দফতরের প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্নার সঙ্গে। উপস্থিত ছিলেন পুলিশ আধিকারিকরা।
এদিকে আবার প্রশাসনিক সফর শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, সোমবার পূর্ব বর্ধমানে প্রশাসনিক সভা। মঙ্গলবার বীরভূমে প্রশাসনিক সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবারের ব🦩ৈঠকে পূর্ব বর্ধমান জেলার মূলত জামালপুর এবং রায়না–২ নম্বর ব্লকে বন্যা পরিস্থিতির জেরে যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিয়ে আলোচনা করেন। অন্যান্য ব্লকের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আলোচনা করেন। তারপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরিস্থিতি ঠিক হলে যাঁদের জমি নষ্ট হয়েছে, ত🌳াঁদের জমি মেপে শস্যবিমার টাকা যাতে দ্রুত পান সেই ব্যবস্থা করার জন্য বলব। আমি চাষি ভাই–বোনেদের চিন্তা করতে বারণ করব।’
আরও পড়ুন: মৃত ৮ মৎস্যজীবীর পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন অভিষেক, পৌঁছে দিলেন আর্থিক সাহায্য
অন্যদিকে দামোদর, ময়ূরাক্ষী, অজয়–সহ রাজ্যের একাধিক নদীর জল উপচে পড়েছে। বানভাসী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গ্রামবাংলায়। বহু রাস্তাঘাটের উপর দিয়ে বইছে নদীর জল। ভেঙে পড়েছে সেতু। বিপর্যস্ত হয়েছে জনজীবন। গত সপ্তাহেই বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে নানা জায়গায় গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা বলেছেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। এই বন্যা পরিস্থিতির জন্য ডিভিসিকেই দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ গ্রামবাংলার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘বাংলার দুর্ভাগ্য এখানে ও অসমে যত বন্যা হয়, অন্য কোথাও তা হয় না। বাংলার অবস্থা নৌকার মতো। ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হলে আমাদের চিন্তা বাড়ে। কারণ নিজেদের বাঁচাতে জল ছেড়ে দেয়। ডিভিসি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনও কাজ না করার ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষের ঘর ডুবেছে। ভোটের জন্য যে টꦺাকা খরচ করা হয়, তার একাংশ দিলেও বন্যা আটকাতে পারতাম।’