বিতর্কিত মন্তব্যে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু কখনও কখনও ঢিল ছুড়লে পাটকেলটিও খেতে হয়। এবার তাই হল। কারণ এবার কালো পতাকা দেখতে হল বাংলা বিজেপি সভাপতিদিলীপ ঘোষকে। যদিও সেই কালো পতাকা নাকি তৃণমূলের কর্মীরা দেখিয়েছেন, দিলীপের দাবি। রবিবার ময়না যাওয়ার আগে তমলুকে প্রাতঃভ্রমণ করতে বেরিয়েছিলেন তিনি। তারপর রূপনারায়ণ নদীর কাছে চায়ে পে চর্চায় যোগ দিতে গেলে কালো পতাকার সম্মুখীন হন।তবে দিলীপ আছেন দিলীপেই। কারণ এ দিন খড়গপুর থেকে কদর্য ভাষায় পুলিশকে আক্রমণ করেন তিনি। কৃষি বিলের সমর্থনে খড়গপুরে মিছিলে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ। মিছিল শেষে একটি সভা করেন। সভায় তিনি বলেন, ‘পুলিশকে দিয়ে ভয় দেখিয়ে কর্মীদের বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। দলের চুনোপুঁটিদের ভয় দেখিয়ে ভাঙিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ওই ভাড়াটে সেনা দিয়ে হবে না। কার্যকর্তাদের বুকে আগুন জ্বলছে। ওই পুলিশ, ওই গুন্ডার মুখে প্রস্রাব করে দিই আমরা।’ এই মন্তব্য নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।আসলে কালো পতাকা দেখে তাঁর মাথার ঠিক ছিল না বলে মনে করা হচ্ছে। তাও আবার সাত-সকালে দেখার ফলে এই অবস্থা। তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বাংলাকে অশান্ত করতে চাইছে বিজেপি। তাই এই প্রতিবাদ। শুধু তাই নয়, দিলীপ ঘোষের সামনেই তৃণমূল কর্মীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে জয়ধ্বনি দিতে থাকেন। তখন এলাকা ছেড়ে চলে যান এই সাংসদ। পরে খড়্গপুরে গিয়ে তিনি ওই সব কু-কথা বলে বিতর্ক তৈরি করেন। পালটা দিতে পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল সভাপতি বলেন, ‘আমরা ও রকম কথা বলতে পারি না। আসলে উনি সারাজীবন মলমূত্র ছাড়া কিছু ত্যাগ করেননি। একুশের নির্বাচনের ফলাফল দেখলে ওঁরই মলমূত্র ত্যাগ বন্ধ হয়ে যাবে।’