জঙ্গলে কাঠ কুড়াতে গিয়েছিল আদিবাসী নাবালিকা। আর সেখানেই গণধর্ষণের শিকার হল সে। জঙ্গল থেকে তার নগ্ন দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই নাবালিকাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনꦓায় ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসায়। তারপরই কাঁকসা থানার পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। জঙ্গল থেকে নাবালিকাকে উদ্ধার করে তার পরিবারে🅘র সদস্যরা। এই চারজনই এলাকার প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান বলে দাবি পরিবারের।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দুপুরে কাঁকসার কুলডিহার আদিবাসী পাড়ার দুই নাবালিকা কাঠ–পাতা কুড়াতে গিয়েছিল জঙ্গলে। বিকেলে বাড়ি ফিরে আসার সময় এলাকার চার যুবক দুই নাবালিকার পথ আটকায়। তখন এক নাবালিকা কোনওক্রমে ছুটে পালাতে সক্ষম হলেও আর একজন পারেনি। তখন তাকে জোর করে গণধর্ষণ করে জঙ✱্গলে ফেলে পালায় অভিযুক্তরা। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়। বন্ধুর সঙ্গে কাঠ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে এমন♑ নির্যাতনের শিকার হতে হয়। বিকেলে বাড়ি ফেরার সময় ঘটনাটি ঘটেছে বলে অভিযোগ।
এদিকে ওই চার যুবকের হাত থেকে বেঁচে পালিয়ে আসা বান্ধবী নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে গোটা ঘটনাটি জানায়। তখন ওই নাবালিকার বাবা জঙ্গলে ছুটে গিয়ে নগ্ন অবস্থায় নাবালিকাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। আর অভিযুক্ত চারজন যুবক তখন ওই নাবালিকার বাবাকে বেধড়ক মারধর করে এবং পুলিশকে বিষয়টি জানালে গ্রাম ছাড়া করে দেওয়ার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। কোনওক্রমে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তার নাবালিকা মেয়েকে নিয়ে এসে দুর্গাপুর মহ🎐কুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন তিনি। নির্যাতিতার দিদি জানান, বিকেলে বোন এক বন্ধুর সঙ্গে জঙ্গল থেকে বাড়ি ফিরছিল। তখন এলাকার চার যুবক তাদের পথ আটকায়। ব🔴োনের বান্ধবী ছুটে পালিয়ে আসতে পারলেও বোন পারেনি। তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে অভিযুক্তরা গণধর্ষণ করে।
আরও পড়ুন: সিকিমকে কেন্দ্রীয় সরকার টাক𒆙া দিলেও কালিম্পংকে নয় কেন? প্রশ্ন তুললেন অনীত
অন্যদিকে এই ঘটনার অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। আর চারজন যুবককে গ্রেফতার করে কাঁকসা থানার পুলিশ। লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় কাঁকসা থানায়। নাবালিকার বাবা–মায়ের একটাই দাবি, কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক অভিযুক্তদের। এই ঘটনাকে ঘিরে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। নাবালিকার বয়ান নিতেও হাসপাতালে গিয়েছিল পুলিশ। তার চিকিৎসা চলছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা💝 নেবে পুলিশ।