ধূপগুড়িতে সভা করতে যাওয়ার আগে আচমকাই ময়নাগুড়ি ১ নম্বর ব্লকের দোমহনি হাট এলাকা পরিদর্শন করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই অভিষেককে কাছে পেয়ে তাদের অভিযোগের কথা জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। ঠিক তখনই হাটে দাঁড়িয়ে সোজা জেলা সভাধিপতিকে ফোন করেন অভিষেক। কৈফিয়েত চান, ‘কেন হাটটা নতুন করে তৈরি করেননি।’ জেলা সভাধিপতিকে রীতিমতো ভৎর্সনা করেন অভিষেক। এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে যাতে কাজ শেষ হয়ে যায়, সেই কথাও সাফ জানিয়ে যান তিনি।এদিন ধূপগুড়ি থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে দোমহনি হাট এলাকায় নেমে পড়েন অভিষেক। এলাকায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের ক্ষোভের কথা জানতে পারেন তিনি। তখন ফোন তুলে যোগাযোগ করেন জেলা সভাধিপতি উত্তরা বর্মনের সঙ্গে। জেলা সভাধিপতি তখন মিটিংয়ে ছিলেন। তাঁকে মিটিং থেকে বেরিয়ে আসার অনুরোধ করে ফোনেই অভিষেক জানান, ‘আপনার জেলা পরিষদে ময়নাগুড়ি ব্লকে দোমহনি হাট রয়েছে। আমি যাওয়ার সময় নামলাম। আপনাদের এতবার বলা হয়েছে। আপনারা হাটটা নতুন করে ঠিক করেননি কেন? ব্যবসায়ী সমিতির যারা আছেন, তারা একাধিকবার জেলা পরিষদে আবেদন করেছে, অনুরোধ করেছে, তারপরও আপনারা কোন তৎপরতা দেখাননি কেন?’ এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। একই সঙ্গে তিনি জানান, ‘মানুষের জন্য কাজ করাটা তো আমাদের একটা দায়বদ্ধতার মধ্যে পড়ে। সিপিএমের আমলে একটা কর্মতীর্থ করেছিল। সেই কর্মতীর্থের ঠিক পাশে একটা ছোট শেড মতো করে দিতে হবে। এরা কেউ এখানে মাছ বিক্রি করে, সবজি বিক্রি করে। এদের পাশে তো থাকতে হবে। এই কাজটা আপনি এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে শেষ করবেন। আমি কিন্তু আবার আসব।’ এদিন দোমহনি হাট এলাকা প্রথমে ঘুরে দেখেন তিনি। এলাকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বিক্ষোভের কথাও জানেন। তাঁরাই জেলা পরিষদের বিরুদ্ধে অভিষেকের কাছে নালিশ জানান। তখনই অভিষেক জেলা সভাধিপতিকে ফোনে ধরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। অভাব অভিযোগ শোনার পর অভিষেক জানান, ‘তৃণমূল–বিজেপি বলে নয়, আমি আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে এলাম। এখন তো ভোট নেই। আমি আবার আসব।’