সিএএ নিয়ে সুর চড়াতে শুরু করেছে তৃণমূল। আচমকাই ভোটের মুখে লাগু হয়ে গিয়েছে সিএএ। চারবছর আগে পাশ করা আইন কেন লাগু করা হল ভোটের মুখে সেই প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল। সেই সঙ্গেই সিএএ আর এনআরসির মধ্য়ে গুলিয়ে দেওয়ার জন্য সব চেষ্টাই চলছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। এমনটাই মত বিজেপির। তবে সিএএ আর এনআরসি যে এক নয় এটা বার বার বিভিন্ন মহল থেকে বলা হচ্ছে।এবার জেনে নেওয়া যাক সিএএ নিয়ে ঠিক কী বলা হয়েছে?কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টুইট করে জানিয়েছেন, মোদী সরকার সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট রুলস ২০২৪-এর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। ধর্মীয় গ্রাউন্ডে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান থেকে যে সংখ্য়ালঘুরা এদেশে এসেছিলেন তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এই নোটিফিকেশনের মাধ্য়মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অপর এক প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলেন। হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রীষ্টান তাঁদের প্রতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হল।আর এবার এনিয়েই মুখ খুলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন, মায়ানমারের কথা কেন উল্লেখ করা হল না সিএএ নোটিফিকেশনে?মমতা বলেন, ইচ্ছে করেই কালকের দিনটা বেছে নেওয়া হয়েছে, কারণ কালকে থেকে রমজান মাস শুরু হয়েছে। এটা আমরা বুঝি। বিজেপির খেলা হচ্ছে হিন্দুতে হিন্দুতে ভাগ করে দেওয়া, মুসলিমে মুসলিমে ভাগ করে দেওয়া। বলুন আফগানিস্তান কী করে এল? মায়ানমার কেন এল না? এটা তো ভারতের বর্ডার। যেগুলো ভারতের বর্ডার সেগুলি হল না। সব কিন্তু রাষ্ট্রহীন হয়ে যাবে। এই ক্যা এনআরসির সঙ্গে যুক্ত মনে রাখবেন। ইয়ে পলিটিকাল খেলা। ইসকো বাদ চল আয়েগা এনআরসি। বলেন মমতা।শিলিগুড়ির সভা থেকে এভাবেই সিএএ নিয়ে হুঙ্কার দিলেন মমতা। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রথম থেকেই সিএএ আর এনআরসিকে এক লাইনে ফেলার চেষ্টা করছে তৃণমূল। মূলত এনআরসি সংক্রান্ত যে আতঙ্ক মানুষের মধ্য়ে রয়েছে সেটাকেই উসকে দিয়ে ভোটের পালে হাওয়া তোলার চেষ্টা। তবে সেই সঙ্গেই তিনি মায়ানমারের প্রসঙ্গও তুলে দিলেন। তবে কি রোহিঙ্গাদের মধ্য়ে যারা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে দাবি করা হয় তাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার পক্ষে রয়েছে তৃণমূল?তবে বিজেপির রাজ্য় সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, সিএএ-র সঙ্গে এনআরসির কোনও সম্পর্ক নেই। অসম ছাড়া কোথাও এনআরসি চালু নেই। কাউকে দেশ থেকে বের করা হবে না।