হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে পশ্চিম বাংলায় প্রথম বন্দে ভারত দ্রুত চালু করতে চায়ছে কেন্দ্র। কাগজে-কলমে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সর্বাধিক গতি ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এই একপ্রেসের সর্বাধিক গতি হতে চলেছে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার। তাও আবার কিছু সময়ের জন্য। তবে গড় গতিবেগ হতে চলেছে ৭২ কিলোমিটার। তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বন্দে ভার⛦তের গতি বাড়ানোই যদি না 𒉰হয় তাহলে কেন তড়িঘড়ি এই এক্সপ্রেস পশ্চিমবাংলায় চালু করা হচ্ছে? সে ক্ষেত্রে কি ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের লক্ষ্যে এই উদ্যোগ কেন্দ্রের? এমনই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে বিভিন্ন মহলে।
রেল সূত্রের খবর, হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে এই এ𒁏ক্সপ্রেসের সর্বাধিক গতি থাকবে ডানকুনি এবং খানা জংশনের মধ্যে।🍒 এখানে গতি থাকবে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার। তারপর থেকেই গতি কমতে থাকবে। সেক্ষেত্রে গতি হতে পারে ঘণ্টায় ৭০ থেকে ৯০♏ কিলোমিটার। হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ির দূরত্ব ৫৬৬ কিলোমিটার। এই রুটে শতাব্দী এক্সপ্রেস পৌঁছতে সময় লাগে ৮ ঘণ্টা ২০ মিনিট। সেই হিসেবে এই রুটে বন্দে এক্সপ্রেস চালু হলে তা পৌঁছতে সময় লাগবে ৮ ঘণ্টা অর্থাৎ মাত্র ২০ মিনিট সময় সাশ্রয় হচ্ছে। অনেকেরই মতে ঠিকমতো পরিকাঠামো এবং লাইনের স্বাস্থ্যের উন্নতি না করেই তড়িঘড়ি করে এই ট্রেন চালু করা হচ্ছে। তাতে লোকসভা ভোটের রাজনীতিকেই দেখছেন বিরোধীরা। একইভাবে গুজরাট, কর্ণাটকে বিধানসভা ভোটের দিকে নজর রেখেই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত যতগুলি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলছে তার মধ্যে বেঙ্গালুরু-মহীশূর 💃রুটে বন্দে এর গতি মন্থরতম বলে মনে করা হচ্ছে। এই রুটে এই এক্সপ্রেসের গড় গতি ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটার। যদিও পশ্চিমবঙ্গে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হওয়া নিয়ে খুশি রাজ্যের শাসক দল। রেলের আধিকারিকদের কথায়, এই রুটে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের গতি বাড়ানোর জন্য কাজ চলছে। ভবিষ্যতে এই গতি আরও বাড়বে আশাবাদী রেলকর্তারা। একইসঙ্গে এর ফলে উত্তরবঙ্গের মানুষও অনেক উপকৃত হবেন বলে তাঁরা মনে করছেন।