রবিবার রাতে শিলিগুড়ি লাগোয়া শালুগাড়ায় রামকৃষ্ণ মিশনের সেবক ভবনে হামল𒆙া ও সন্ন্যাসী নিগ্রহের ঘটনায় আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ। ধৃত অমন ঘোষ ওরফে মনোজ একজন কুখ্যাত দ🍎ুষ্কৃতী বলে জানা গিয়েছে। রবিবার রাতে যারা রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীদের ওপর হামলা চালিয়েছিল মনোজ তাদের অন্যতম বলে জানাচ্ছে পুলিশ। এই নিয়ে ওই ঘটনায় গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে হল ৬। তবে ঘটনার পরে সপ্তাহ ঘুরতে চললেও মূল অভিযুক্ত প্রদীপ রায়ের টিকি ছুঁতে পারেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন: বনকর্মী খুনে ৩ বাংলাদেশি চোরাশিকারি গ্রেফতার, মধু🥂-হরিণের ♓জন্য জলসীমা লঙ্ঘন
পড়তে থাকুন: বাংলাদেশের সাংসদের দেহ ৮০ টুকরো করতে কতꦆ টাকা মিলেছিল? খুনের তদন্তে নয়া মোড়
গত রবিবার রাতে রামকৃষ্ণ মিশনের জমি ও বাড়ি দখল করতে প্রদীপ রায় নামে এক ব্যক্তি সেবক ভবনে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। কেজিএফ গ্যাং নামে দুষ্কৃতীদের একটি গোষ্ঠীকে ব্যবহার করে হামলা হয় বলে অভিযোগ। সেই গোষ্ঠীর সদস্য মনোজকে খুঁজতে কলকাতার একাধিক ঠিকানায় হানা দেন শিলিগুড়ির পুলিশ আধিকার꧅িকরা। অবশেষে কলকাতাতেই মনোজের খোঁজ পান তাঁরা।
অভিযোগ, রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীদের আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সেবক ভবন খালি করে দিতে বলে দুষ্কৃতীরা। রাজি না হওয়ায় ভবনে বসবাসকারী ৫ জন সন্ন্যাসীসহ বেশ কয়েকজনকে অপহরণ করে তারা। এর পর নিউ জলপাইগুড়♋ি রেল স্টেশনের কাছে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: যাদবপღুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের জেরেই ছাত্রমৃত্যু ঘটে, কর্মসমিতির বৈঠকে শাস্তিতে সিলমোহর
এই ঘটনায় রবিবার রাতেই প্রদীপ রায় নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভক্তিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করে রামকৃষ্ণ মিশন। তার দেড় ঘণ্টা পরে রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীদের বিরুদ্ধে পালটা অভিযোগ দায়ের করেন প্রদীপ রায়। অভিযোগ, রামকৃষ্ণ মিশনের তরফে করা অভিযোগে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ থাকলেওౠ পুলিশ প্রদীপ রায়ের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের ধারা প্রয়োগ করেনি। উলটে সন্ন্যাসীদের বিরুদ্ধে প্রদীপ রায়ের করা অভিযোগে আদিবাসী নির্যাতন বিরোধী আইনের মতো গুরুতর ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে। যাতে গ্রেফতারির পর ৩ মাস জামিনের কোনও সুযোগ নেই। প্রদীপ রায়ের দায়ের করা অভিযোগ যে ভুয়ো তা ইতিমধ্যে স্বীকার করে নিয়েছে শিলিগুড়ি পুলিশ।