ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে হকারদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। তাদের পুর্নবাসনের জন্যও জমি খোঁজা শুরু করে দিয়েছে পুরসভা। এবার কলকাতা পুরসভার নজর ফুটপথবাসীদের ওপর। কারণ শহরের অনেক জায়গাতেই ফুটপাত দখল করে ঝুপড়ি বানিয়ে থাকছেন ফুটপাথবাসীর। যার ফলে মানুষের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। তাই হকার নিয়ন্ত্রণের পর এবার এই সমস্ত গৃহহীন ফুটপাথবাসীদেরও সরাতে উদ্যোগী হয়েছে কলকাতা পুরসভা। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু জায়গায় ঝুপড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এবার ফুটপা🅷থবাসীদের থাকার ব্যবস্থা করতেও পদক্ষেপ করতে চলেছে পুরসভা। প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে তাদের নাইট শেল্টারে রাখা হবে। এর জন্য আরও দুটি নাইট শেল্টার তৈরি করতে চলেছে পুরসভা।
আরও পড়ুন: উচ্ছেদের পর এব💝ার হকারদের পুনর্বাসনের জন্য তৎপর পুরসভাগুলি, শুরু করল জমির খোঁজ
সাধারণত কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় যেমন ব্রিজের নিচে অথবা ফুটপাথে ঝুপড়ি বানিয়ে থাকেন ফুটপাথবাসীরা। শিয়ালদা, রাজাবাজার, রাসবিহারী, টালিগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় এভাবেই থাকতে দেখা যায় বহু মানুষকে। তবে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হওয়ার পরেই শিয়ালদা ও রাজাবাজারে ফুটপাথ থেকে বেশ কিছু ঝুপড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বালিগঞ্জের কিꦉছু এলাকাতেও একই ভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের। আর সেখানেই দেখা দিয়েছে চিন্তা। কোথায় থাকবেন তারা তা দুশ্চিন্তায় পরিবারগুলি। এই অবস্থায় ঠিক হয়েছে শহরের ১১ টি নাইট শেল্টারে ফুটপাথবাসীদের রাখা হবে। সম্প্রতি পুলিশ প্রশাসনের বৈঠকেও সিদ্ধান্ত হয়েছে ফুটপাথে আর কোন ওগৃহহীন মানুষ থাকবে না। রাত কাটানো যাবে না। এই অবস্থায় গৃহহীন ফুটপাথবাসীদের কথা ভেবেই তাদের নাইট শেল্টারে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও, গৃহহীনদের থাকার জন্ℱয আরও দুটি নাইট শেল্টার করা হবে বলে পুরসভার তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পুরসভার মেয়র পারিষদ (সমাজকল্যাণ) মিতালী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পুজোর আগেই এই দুটি নাইট শেল্টার তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে। সেগুলি উত্তর কলকাতার মুরারি পুকুর এবং টালিগঞ্জের গান্ধী কলোনিতে তৈরি করা হবে। শুধু তাই নয়, এরপরে কেউ ফুটপাতে থাকলে বা রাত কাটালে কড়া ব্যবস্থা নেওয༒়া হবে বলেও পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে। এদিকে, হকারদের পুনর্বাসনের জন্যও তৎপরতার সঙ্গে জমি খুঁজতে শুরু করেছে পুরসভা।