রেশন দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট দিয়েছে ইডি। তাতে নাম রয়েছে প্রাক্তন খাদ্য মন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। জ্যোতিপ্রিয় ছাড়াও রয়েছে বাকিবুর রহমানের নাম। সেই চার্জশিটে বিস্ফোরক তথ্য জানিয়েছেন ইডির গোয়েন্দারা। কার কাছ থেকে কত টাকা উদ্ধার হয়েছে বা বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য চার্জশিটে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। চার্জশিট অনুযায়ী, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী মনিদীপা, কন্যা প্রিয়দর্শিনী নামে ব্যাঙ্কে ৫৮ টি টার্ম ডিপোজিট ছিল। সেই অ্যাকাউন্টগুলিতে আড়াই কো🍌টিরও বেশি টাকা জমা ছিল। তা বাজেয়াপ্ত করেছে ই💜ডি।
আরও পড়ুন: জ্যোতিপ্র💃িয় মল্লিকের 𒁏হিসাবরক্ষককে তলব করল ইডি, বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে
আদালতে ১৬২ পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। জানা গিয়েছে, জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রী এবং কন্যার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মোট জমা ছিল ২ কোটি ৮৯ লক্ষ ১ হাজার ৪৭৮ টাকা। সেই সমস্ত টাকাটাই বাজেয়াপ্ত করেছেন গোয়েন্দারা। যদিও উদ্ধার হওয়া টাকার সঙ্গে রেশন দুর্নীতির যোগ রয়েছে কিনা সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন গোয়েন্দারা। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। মঙ্গলবার প্রথম চার্জশিট পেশ করে ইডি। তাতে মোট ১২ জন অভিযুক্তের নাম রয়েছে। চার্জশিটে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বাকিবুরের কাছে ৩০ কোটি টাকা গিয়েছিল। এছাড়াও ১০টি সংস্থার নাম উঠে এসেছে এই চার্জশিটে। ইডি সূত্রের খবর, জ্য✃োতিপ্রিয় মল্লিকের হাত ধরেই সরকারি কোষাগার থেকে ৪৫০ কোটি টাকা যায় বাকিবুরের সাজানো ভুয়ো কৃষকদের অ্যাকাউন্টে। সংস্থার মধ্যে পাঁচটি সংস্থা ছিল বালুর নিয়ন্ত্রণে। এছাড়া বকিবুরের নিয়ন্ত্রণে ছিল দুটি সংস্থা। সেই সংস্থাগুলির মাধ্যমেই ধান কেনার নামে দুর্নীতি হয়েছে।
চার্জ🐷শিট অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে রমরমিয়ে চলেছে দুর্নীতি। চার্জশিটে ইডি আরও দাবি করেছে, বাকিবুর তার বয়ানে স্বীকার করেছেন যে কোনও কর্মীর কাছ🍷 ধান কেনা হয়নি, শুধু খাতায় কলমে তাঁর কর্মীদের কৃষক দেখানো হয়েছিল। সহায়ক মূল্যের টাকা নিতেই ওই ব্যবস্থা করা হয়। সেক্ষেত্রে যে ধান কেনার ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে সেবিষয়ে স্পষ্ট আধিকারিকরা। পাশাপাশি, ইডির তরফে দাবি করা হয়েছে, জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রী মনিদীপা, কন্যা প্রিয়দর্শিনী তিনটি কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন। আর ১২ মাসের মধ্যে এই সংস্থাগুলি তুলে দেওয়া হয় প্রমাণ লোপাটের জন্য। প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতিতে ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারে তদন্তকারী সংস্থা। তারপরে জ্যোতিপ্রিয়কে গ্রেফতার করে।