মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বার রাজ্যে ক্ষꦯমতায় আসার পরেই শিল্পের উপর জোর দিয়েছিলেন। শিল্প এবং কর্মসংস্থান যে তৃণমূল সরকারের লক্ষ্য সে কথায় তিনি ঘোষণা করেছিলেন। সেইমতোই করোনা পরিস্থিতি কাটতেই রাজ্যে বিশ্ববাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের (বিজিবিএস) আয়োজন করেছে সরকার। এই সম্মেলনের প্রথম দিনই আদানি এবং হিরানন্দানি শিল্পগোষ্ঠী রাজ্যে অনেক বিনিয়ো🐈গের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। দেশের অন্যতম বড় শিল্পগোষ্ঠী বিনিয়োগের আশ্বাস দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যজুড়ে যেমন শিল্প হবে তেমনি প্রচুর পরিমাণে কর্মসংস্থান হবে বলেই আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এরইমধ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে মানোন্নয়নের উপরেও জোর দিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্য শিক্ষা ব্যবস্থাকে পরিকাঠামো এবং আধুনিকতার দিক থেকে আরও উন্নত করতে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মউ চুক্তি স্বাক্ষর করল রাজ্যের ৭ টি বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে এই সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলি দেশের পাশাপাশি বিদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ইংল্যান্ডের ইউসিএল, লিডস বিশ্ববিদ্যালয় ও পোল্যান্ডের ওয়ারশ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালী চক্রবর্তী তাদের সঙ্গে মউ স্বাক্ষর করেছেন। অন্যদিকে, ইংল্যান্ড এবং পোল্যান্ড ছাড়াও ভিন রাজ্যের কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ🐼্যালয়। ওই সমস্ত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গবেষণা ও ছাত্র বিনিময় নিয়ে চুক্তি করা হয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মোট পাঁচটি মউ স্বাক্ষর করেছে। এই সাক্ষর করেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। এছাড়াও ছিলেন সহ-উপাচার্য এবং অন্যান্য আধিকারিকরা।
রাশিয়ার একটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়। এই তালিকায় রয়েছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ও। এই বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাটমিক মিনারেলস ডাইরক্টরেট ফর এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড রিসার্চ’য়ের সঙ্গে মউ স্বাক্ষর করেছে। এছাড়াও সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যা☂লয়, অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয় এবং সিকম বিশ্ববিদ্যালয়ℱ বিভিন্ন দেশ-বিদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মউ স্বাক্ষর করেছে। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু♎ জানান, ‘করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা ধাক্কা খেয়েছে। তবে আবার শিক্ষাব্যবস্থা ধীরে ধীরে মাথা তুলে দাঁড়াতে।’