জানুয়ারি মাসের ১৮ থেকে ৩১ তারিখ সল্টলেকের সেন্ট্রালপার্ক মাঠে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ৪৭তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। এই ডিজিটাল যুগে ফোন-ল্যাপটপে পিডিএফ পড়ার প্রবণতা যখন বাড়ছে, ঠিক তখনই কলকাতা বইমেলা শোনাল অন্য সুর। বইমেলার ইতিহাসে এই প্রথম ব্যবসার অঙ্ক ছাড়াল ২৮ কোটি টাকা প্রায়। পাবলিশার্স এবং বুকসেলার্স গিল্ডের প্রেসিডেন্ট ত্রিদিব কুমার চ্যাটার্জির মতে, ‘এবারে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ বইমেলায় এসেছেন। এইব🐭ারে প্রথম ব্যবসার অংক ছুঁয়েছে ২৮ কোটি টাকা। কাগজের দাম বཧৃদ্ধি এবং সরকারি ছুটির দিনে ও সপ্তাহান্তে বইমেলায় মানুষের ঢল, এই দুইয়ের সমন্বয়েই ব্যবসা ছুঁয়েছে আঠাশ কোটি টাকার অঙ্ক।’
বিই (BEE) বই প্রকাশক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ঈশা চ্যাটার্জির মতে, ‘এইবারে প্রায় রেকর▨্ড সংখ্যক প্রকাশক বইমেলায় অংশগ্রহণ করেছেন। যত অংশগ্রহণ বাড়বে তত বৈচিত্র্য বাড়বে।’ এইবারের বইমেলায় আগের তুলনায় বেশি সংখ্যক ইংরেজি এবং নতুন প্রকাশনী সংস্থার অংশগ্রহণ করেছে। অক্সফোর্ড বুক স্টোরের সিইও স্বাগত সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, ‘গত কয়েক বছরে, আমরা লক্ষ্য করেছি যে ডিজিটাল প্রকাশনার সুবিধা থাকা সত্ত্বেও হার্ড কপির প্রতি তরুণ প্রজন্মের আগ্রহ ক🎀্রমবর্ধমান। বই ও বইমেলার ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও (Social Media) বড় ভূমিকা রেখেছে।’
কলকাতা বইমেলায় বিভিন্ন ধারার বইয়ের মধ্যে জনপ্রিয় হল কল্পকাহিনী মূলক সাহিত্য (Fiction), প্রকৃত তথ্যভিত্তিক সাহিত্য (Non-fiction) এবং বিভিন্ন ক্লাসিক উপন্যাস। প্রকাশকদের মতে পুরস্কার প্রাপ্ত এবং বিতর্কিত শিরোনামযুক্ত বইগুলো বেশি সংখ্যক মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবারের বইমেলায়। ‘পুরনো ক্লাসিকগুলি সবসময়ই গ্রাহকদের মধ্যে জনপ্রিয়। বিভিন্ন লেখক যেমন প্রচেত গুপ্ত, স্বপ্নময় চক্রবর্তী, সায়ন্তনী পুতুতুন্ডু’র বই ভাল ব্যবসা করেছে৷ অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যাত্রা গানে রামায়ণ, গজেন্দ্র কুমার মিত্রের শ্যামা ট্রিলজি ও পাঞ্চজন্য, আশাপূর্ণা দেবীর ট্রিলজি প্রথম প্রতিশ্রুতি, সুবর্ণলতা ও বক﷽ুল ক♔থা অসংখ্য বিক্রি হয়েছে’ জানিয়েছেন মিত্র ও ঘোষের নুর ইসলাম। এবারের মত শেষ কলকাতা বইমেলা। অপেক্ষা আরেকটা বছরের।