মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বাড়িতে থাকা পাতকুয়োর জলে ডুবে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। মৃতের নাম বরুণ চন্দ্র। তিনি বেলেঘাটার রাজা রাজেন্দ্রলাল মিত্র রোডের কানাইপাড়া এলাকার বাসিন্দা। সোমবার তার দেহ পাতকুয়োর𒀰 জলে ভাসতে দেখেন পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের সদস্যের দাবি, তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। এখন তিনি নিজে পাতকুয়োতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা হয়েছেন, নাকি কোনওভাবে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাতকুয়োর মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পারিবারিক সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত কয়েক বছর ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন বরুণবাবু। এরজন্য তিনি ওষুধও খাচ্ছিলেন। তার স্ত্রী মিড ডে মিল রান্নার কাজ করেন। স্কুলে পড়াশোনা করে তার মেয়ে। ঘটনার সময় বাড়িতে কেউ ছিল না। তার স্ত্রী মিড ডে মিল রান্নার জন্য গিয়েছিলেন। অন্যদিকে তার মেয়েও স্কুলে গিয়েছিলেন। বরুণ বাবুর বৌদি বাড়িতে জামা কাপড় কাচার জন্য পাতকুয়ো থেকে জল নিতে গিয়ে তার মৃতদেহ ভেসে থাকতে দেখেন। তার চেঁচামেচিতে অন্যান্য স্থানীয়রা ছুটে আস🌜েন। পাতকুয়ো থেকে উদ্🥃ধার করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে, কলকাতার মধ্যে বাড়িতে পাতকুয়ো থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কলকাতা পুরসভার নিয়ম অনুযায়ী, কেউ বাড়িতে পাতকুয়ো রাখতে পারবেন না। তাহলে সে ক্ষেত্রে ওই বাড়িতᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚে কিভাবে এতদিন ধরে একটা পাতকুয়ো ছিল? তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। যদিও পরিবারের সদস্যরা এরজন্য জলের চাপ কম হওয়াকেই দায়ী করেছেন। তবে, এই অভিযোগ মানতে চাননি ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অলকানন্দা দাস। তিনি জানিয়েছেন এলাকায় জলের চাপ ঠিকই রয়েছে।