একদা রাজ্যের প্রথমসারির মন্ত্রী ছিলেন। দলের মহাসচিব–সহ পরিষদীয়মন্ত্রী পদ ছিল তাঁর। সুতরাং প্রভাব এবং দাপট দুটোই ছিল। কিন্তু জেলবন্দি ꦚহওয়ার পর সবই গিয়েছে তাঁর। এখন তিনি প্রায় সাত মাস জেলবন্দি। ইডি তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। হ🔯্যাঁ, তিনি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে বিচারাধীন বন্দি তিনি। ভেবেছিলেন দুর্গাপুজোর আগে অন্তত জামিন পাবেন। কিন্তু জামিনে মুক্তির অপেক্ষা দীর্ঘতর হচ্ছে। বাড়ছে বন্দিদশার মেয়াদ। বৈভবের জীবন হাতছাড়া হয়ে এখন আধা অন্ধকার গারদে থাকতে হচ্ছে। আর তার জেরে পার্থবাবু এখন মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। ভেঙে পড়েছেন তিনি। তাই মানসিকভাবে তাঁকে চাঙ্গা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে পূর্ণ সময়ের মনোবিদ নিয়োগ করা হচ্ছে বলে কারা দফতর সূত্রে খবর।
কেমন ছিল পার্থের জীবন? ক্ষমতার অলিন্দে থাকাকালীন ত🌸াঁর ছিল বৈভবের জীবনযাত্রা। তখন তিনি রাজ্য মন্ত্রিসভার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। সঙ্গী ছিল পাইলট কার, পুলিশের একাধিক গাড়ির ঘেরাটোপ, খদ্দরের দামি পাঞ্জাবি, শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসবাস, বিপুল টাকার ফল খাওয়া 𒁃এবং পঞ্চব্যঞ্জনে মধ্যাহ্নভোজ–নৈশভোজ। এমনকী তাঁর পোষা সারমেয়রাও থাকত শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে। সেখানে শীতকাল কাটলেও এপ্রিল–মে মাসের গরমের কথা ভেবে চিন্তায় পড়েছেন পার্থ। ইদানিং রক্ষীদের ডেকে তিনি জানতে চাইছেন, জেলে গরমকালে বন্দিরা কতটা কষ্ট পায়। প্রহরীরা তাঁকে বলেছেন, এসব ব্রিটিশ আমলের নির্মাণ। অনেক মোটা গাঁথনি হওয়ায় গরমের তীব্রতা কম থাকে সেলের ভিতর বলে সূত্রের খবর।
আর কী জানা যাচ্ছে? সংশোধনাগার সূত্রে খবর, পার্থর পাশের সেলেই আছে আম🃏েরিকান সেন্টারে হামলা এবং খাদিমকর্তা ꦿঅপহরণের অভিযুক্ত কুখ্যাত আফতাব আনসারি। তার পর আছেন সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন, রোজভ্যালির গৌতম কুণ্ডু–সহ অনেকেই। কয়েকদিন আগেও পার🐓্থ অন্য আসামীদের খবর নিতেন। কিন্তু এখন খুব চুপচাপ হয়ে গিয়েছেন। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক 💎কারারক্ষী বলেন, ‘পার্থর মানসিক অবসাদ বাড়ছে। তাই প্রেসিডেন্সি জেলে একজন মনোবিদ আনা হচ্ছে।’