ভিন রাজ্যের যুবকের কাছ থেকে বড় অঙ্কের টাকা লুঠ করল দুই যৌনকর্মী বলে অভিযোগ। ছক করে এই যুবককে✤ ফাঁদে ফেলা হয় বলে অভিযোগ। নিজেদের পারিবারিক দুরবস্থার ক⛦থা জানিয়ে ওই যুবকের সহানুভূতি আদায় করে দুই যৌনকর্মী। নিজেদের এই পরিচয় গোপন রাখা হয়। তারপর ওই যুবক যৌনকর্মীদের ফাঁদে পা দিতেই লুঠপাট করা হয় বলে অভিযোগ।
ঠিক কী ঘটেছে সোনাগাছিতে? ওই যুবকের বয়ান অনুযায়ী, ওই দুই যৌনকর্মীর কথাতে বিশ্বাস করে তাদের পাশে দাঁড়াতে যান নয়াদিল্লির যুবক। এমনকী ওই দুই যৌনকর্মীর বাড়িতে গিয়েও পরিস্✅থিতি দেখে আসার কথা দেওয়া হয়। তারপর একদিন যুবক সোনাগাছিতে আসতেই তাঁকে নানা কথা বলে ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তিনি বুঝতে পারেননি জায়গাটি সোনাগাছি য🍸ৌনপল্লি। আর সেখানে পৌঁছতেই ঘরে আটকে যুবকের সব লুঠপাট করা হয়।
ঠিক কী বলেছিল যৌনকর্মীরা? ওই যৌনকর্মীরা যুবককে বলেছিল, ‘আমরা দুঃস্থ। স্বামী ছেড়ে চলে গিয়েছে। অসুস্থ মেয়ে ঘরে শয্যাশায়ী। ছে🐓লের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। দু’টো খাবারও ভাল করে জোটে না।’ এই কথায় বিশ্বাস করেই সেখানে গেলে লুঠপাঠ করা হয় বলে অভিযোগ। আর সেখানে নিয়ে গিয়ে তাঁর মোবাইল কেড়ে নিয়ে ই– ওয়ালেট থেকে ৬০ হাজার টাকা লুট করল যৌনকর্মীদের ওই চক্র। এই ঘটনার পর যুবক বড়তলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। যৌনকর্মীদের সঙ্গে এক ব্যক্তি যুক্ত হয়ে এই কাজ করছিল। বিনিময়ে টাকা ভাগাভাগি করা হয়। যার নামে ওই ই–ওয়ালেট,🐬 পুলিশ তাকে শনাক্ত করে উত্তর কলকাতার বিডন স্ট্রিটে তল্লাশি চালায়। আর গোপাল মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করে। ওই ব্যক্তি টাকার লোভে যৌনকর্মীদের চক্রে যোগ দেয়।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২০ ডিসেম্বর নয়াদিল্লির ওই যুবক কলকাতায় আসেন। তারপর মেট্রো করে এসে নামেন শোভাবাজার স্টেশনে। সেখানেই তাঁর সামনে আসে দুই মহিলা। তারা নিজেদের দুঃস্থ বলে পরিচয় দেয়।🦄 আর নিজেদের খারাপ অবস্থার কথা বর্ণনা করে। ওই দুই মহিলা যুবকের বিশ্বাস অর্জন করতে বাড়িতে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। তখন যুবক সাহায্য করতে রাজি হলে তাদের সঙ্গে সোনাগাছির দিকে যান। এরপর যৌনপল্লিতে তাঁকে একটি বাড়ির ভিতর নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। লুটপাট করা হয় তাঁর মানিব্যাগ–মোবাইল। তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়, তাঁর বাড়িতে ফোন করে বলা হবে যে, তিনি যৌনপল্লিতে এসে টাকা দেননি। তাঁকে পুলিশ দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়। তারপর জোর করে ই–ওয়ালেটের মাধ্যমে ৬০ হাজার টাকা নিয়ে নেওয়া হয়। লুটপাটের পর বাইরে বের করে দেওয়া হলে যুবক বড়তলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। যৌনকর্মীদের ‘গ্যাং’ এখন পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।