আজ, রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসের ‘জনগর্জন সভা’ ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে। আর এই সমাবেশ উপলক্♊ষ্যে ইতিমধ্যেই ব্যাপক ভিড় দেখা দিয়েছে। এখান থেকেই বিজেপিকে বিসর্জনের ডাক দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্রিগেড ময়দান জুড়ে চারিদিকে কালো মাথার থিক থিকে ভিড়। এই ভিড়ের মাঝে ব়্যাম্পে হেঁটে বাংলা থেকে বিরোধীদের বিদায়ের আওয়াজ তুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক প্রশ্ন তোলেন, ‘দিদি না মোদী? কার গ্যারান্টি চায় বাংলা?’ তাই বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন দিতে হবে বলে আওয়াজ তোলেন অভিষেক। স্লোগান দেন, ‘বাংলার গর্জন, বিজেপিকে বিসর্জন।’
এদিকে বিজেপি থেকে সিপিএম—সকল বিরোধীদের কাজকে যুক্তি দিয়ে তুলোধনা করেন। অভিষেকের কথায়, ‘১৫ দিনেরও কম সময়ে আমরা এই ব্রিগেডের আয়োজন করেছি। ব্রিগেডে মানুষের উপস্থিতি সুনিশ্চিত করে দিল, আগামীর রায় বিরোধীরা বিদায়। জনগর্জন কী, আজকে শুধু একটা ট্রেলার দেখালাম, ছবি পরে দেখাব। আমি যে কথা বলি, কেউ বিশ্বাস করবেন, কেউ করবেন না। কিন্তু ছবি মিথ্যা বলবে না। আপনাদের ১০ মিনিটের একটি ভিডিয়ো দেখাব। এরা মানুষকে ভাতে মারার চক্রꦏান্ত করেছে। আপনি কার সঙ্গে থাকবেন, সেই সিদ্ধান্ত তার পর আপনি নিন। কার পক্ষে থাকবেন? যিনি ভাষণ দেন না যিনি রেশন দেন?’
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দাবিকে খণ্ডন করেন অভিষেক। প্রধানমন্ত্রী মিথ্যা কথা বলেছেন বলে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেছেন, ২০২২–২৩ এবং ২০২৩–২৪ অর্থবর্ষে আবাসের একটি টাকাও দেয়নি কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রীকে বলব, শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন। কত টাকা ১০০ দিনের কাজে দিয়েছেন, কত টাকা আবাসে দিয়েছেন, তার শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে যদি নাও পারেন বিজেপির যে কোনও নেতা, কেন্দ্রীয় সরকারের যে কোনও অফিসারকে কলকাতায় পা💜ঠাবেন। চ্যানেল, সঞ্চালক, সময় আপনি ঠিক করুন। দুধ কা দুধ, পানি কা পানি হয়ে যাবে।’
এছাড়া সেই ভিডিয়োয় তুলে ধরা হয় একের পর এক ঘটনা। বঞ্চনা থেক🅷ে গালিগালাজ যা বিজেপি করেছে তা মানুষের সামনে নিয়ে আসা হয়। তাঁর কথায়, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি না থাকতেন, বাংলার কোটি কোটি মানুষকে আওজও বন্দুকের নলের নীচে মাথা নত করে থাকতে হতো। আমরা লড়ে দেখিয়েছি। করে দেখিয়েছি। দিদি না মোদী? কার গ্যারান্টি চায় বাংলা? আমি বলব, জনগণের গর্জন। আপনারা বলবেন বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন। এটা মানুষের ক্ষমতা প্রমাণের ব্রিগেড। আপনাদের টাকা আপনারা পাবেন। পঞ্চায়েত ভোটের এক মাসের মধ্যে ব্যবস্থা আমরা করব বলেছিলাম। করেছি। আজও করব।’