উডল্যান্ডস হাসপাতালে অসুস্থ অবস্থায় শুয়ে আছেন মানুষটা। তিনি বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। গোটা রাজ্যবাসী তাঁর আরোগ্য কামনা করছেন। চাইছেন তাঁর সুস্থতা। তবে তৃণমূলের মুখপাত🧸্র কুণাল ঘোষও তাঁর আরোগ্য কামনা করেছেন। তবে তার সঙ্🐷গেই তিনি জুড়ে দিয়েছেন অন্য একটি বাক্য। সেই বাক্যকে কার্যত মানতে পারছেন না রাজ্যবাসী অনেকেই। এমনকী কুণালের শিক্ষার মান নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। আর এবার কুণালের সেই বক্তব্যকে ঘিরে পালটা দিলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী।
কুণাল ঘোষ জানিয়েছিলেন, ‘বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আমি আরোগ্য কামনা করছি। কিন্তু যাঁরা তাঁকে আদিখ্যেতা করে মহাপুরুষ সাজাচ্ছেন, তার সঙ্গে একমত নই। কারণ বুদ্ধদেববাবুর জমানায় সিপিএম অনেক ভুল কাজ⭕ করেছে। তাছাড়া ওঁর ঔদ্ধত্যে বহু ক্ষতি হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে আঘাত লাগলে যে সিপিএম–বিজেপি মিম বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ভরায় তাদের কাছ থেকে রুচি শিখব না। যা বলেছি বেশ ক🌃রেছি।’
আর তার পালটা একটি বাংলা বৈদ্য়ুতিন সংবাদ মাধ্যমে অধী♎র বলেন,এরা হচ্ছে রাজনৈতিক ছোটলোক। দিদির দলের লোকের এই অবস্থা। আজ আমরা আছি , কাল থাকব না। আজ যখন কেউ মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তার পাশে দাঁড়ানো দরকার। কিন্তু যিনি এমন বলছেন তাঁকে রাজনৈতিক ছোটলোক ছাড়া আর কিছু বলব না। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণালকে কার্যত ধুয়ে দিলেন অধীর চৌধুরী।
সিপিএমের শতরূপ ঘোষের দাবি, আমরা কুণাল ঘোষের মানসিক সুস্থতা কামনা করছি। মৃত্যুর সঙ্গে যিন🌄ি পাঞ্জা লড়ছেন তার সম্পর্কে যে এমন কথা বলা যায় সেটা ভাবতে পারছি না।
শতাব্দী রায় বলেন, রাজনীতির ভালো মানুষ যদি কেউ থাকে তবে উনি একজন। তা꧟ঁর সুস্থতা কামনা করি।
এমনকী কামারহাটি তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, বুদ্ধদেব বাবুর সুস্থতা কামনা করছি। রাজনীতিতে যাঁদের মেরুদণ্ড রয়েছে তাঁদের মধ্যে অন্যতম বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তিনি শিড়দাড়া বিক্রি করেন💯নি।
কার্যত তৃণমূলের তাবড় নেতৃত্বও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সম্পর্কে একটিও কটূ শব্দ ব্যবহার করেননি। এমনকী তাঁকে ভালো মা🦄নুষ বলেও উল্লেখ করছেন তৃণমূ🌳ল নেতৃত্ব।
তবে যে মানুষটি অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে তাঁর সম্পর্কেও কটূকথা বলতে ছাড়লেন না কুণাল ঘোষ। তিনি তৃণমূলের মুখপাত্র। এখন প্রশ্ন তৃণমূলের মুখপাত্রের মুখে এই কথা কি আদৌ দলকে সম্মানের জায়গায় বসাল নাকি মুখপাত্রের অহঙ্কার দলের মুখে চুনকালি দিল? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য মেলেনি। তবে সকলেই চাইছেন সুস্থ হয়ে উঠুন বুদ্ধদেব ভট্টাচা❀র্য। তাঁকে এভাবে দেখতে চায় না বাংলা। রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ভুলে তাঁর আরোগ্য কামনা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার।