খাস কলকাতায় আদিবাসী দম্পতিকে জাত তুলে মারধর করার অভিযোগ উঠল। পেশায় দুজনেই সরকারি শিক্ষা কর্মী ওই দম্পতিকে মারধর করার পাশাপাশি খওয়ার জল দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে। এমন ঘটনা কোনও সাধারণ কর্মস্থলে নয়, রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের সহকর্মীরাই💙 মারধর করেছে বলে সিঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই দম্পতি। এর ꦬপরেই নড়েচড়ে বসেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আদিবাসী দম্পতির নাম মানিক হেমব্রম এবং তাঁর স্ত্রী শকুন্তলা হেমব্রম।🥃 এই ঘটনায় ৭ শিক্ষা কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ🌊 জানিয়েছেন দম্পতি। যার মধ্যে রাজকুমার ঝা স্থায়ী শিক্ষা কর্মী এবং বাকিরা চুক্তিভিত্তিক শিক্ষা কর্মী। অভিযোগ পাওয়ার পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্🗹য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী তাদের প্রত্যেককে বরখাস্ত করেছেন।
কী ঘটেছিল?
মানিক হেমব্রমের অভিযোগ, ঘটনাটি ঘটেছে গত ৯ নভেম্বর। তিনি সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিউটিতে যোগ দেওয়ার পর প্রদীপ নামে তাঁর এক বন্ধু তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পিছন দিকে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে আরও কয়েকজন ছিলেন। কোনও কিছু না বলেই তারা আচমকা মানিক বাবুকে মারধর করতে শুরু করেন। ‘সাঁওতাল’, ‘নিচু জাত’ বলে কটাক্ষ করে তাঁকে মেঝেতে ফেলে লাঠি দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কোনওভাবে তিনি সেখান থেকে পালিয়ে গেলেও অভিযুক্তরা পিছু ধাওয়া করে মানিক বাবুকে ধরে ফেলে এবং পুনরায় মারধর চালায়। এরপর তাঁর স্ত্রী শকুন্তলা হেমব্রম খবর পেয়ে স্বামীকে উদ্ধার করতে যান। তাঁকেও ধাক্কাধাক্কি করা হয়। পর👍ে অবশ্য ওতাদের ছেড়ে দেয়। শকুন্তলাদেবীর অভিযোগ, তাঁকে ধাক্কাধাক্কি করার পাশাপাশি ‘মাওবাদী’, ‘নিচু জাত’ বলে আক্রমণ করা হয়। এ ঘটনার পর সিঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করার পাশাপাশি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছেও অভিযোগ জানান দম্পতি। এরপরেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।