সামনেই পুজো। এই সময়ই তো জমতে শুরু করে পুজোর বাজার। সেই সঙ্গেই কলকাতা মানেই তো স্ট্রিট ফুড। রাস্তার ধারে জমিয়ে খাওয়া দাওয়া। তবে আরজি কর কাণ্ড যেন সেই ছন্দটাকেই বদলে দিয়েছে। রাস্তার ধারে বহু দোকানে আর আগের মতো ভ♌িড় নেই। আনন্দ অনুষ্ঠানেও যেন মꦏন নেই অনেকের। রাস্তার ধারে সেই দল বেঁধে খাওয়া সেটাতেও বিশেষ যেন মন নেই অনেকের।
এর সঙ্গেই যুক্ত হয়েছে বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদকারীদের আটকাতে পুলিশের তৎপরতা। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, গোলাবাড়ির সৌরভ পট্টনায়েক জানিয়েছেন, শুধু আমাদের ক্ষেত্রেই নয়, কলকাতার সবাই এটা অনুভব করছেন। এই ১৪৪ ধারা কলকাতার রাস্তাগুলোকে একেবারে ভুতুড়ে করে তুলেছে।
তিনি জানিয়েছেন, শ্য়ামবাজারকে কোনওদিন এমন ফাঁক💜া ফাঁকা আগে দেখেছেন? দিনের ব্যস্ততম সময়তেও রাস্তা কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা।
আরজি করের কাছেই তেলেভাজার দোক🌱ানে কাজ করেন হারুন আলি খান। তিনি জানিয়েছেন, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের কাছে পরিস্থিতি আরও অন্যরকম। ৭০-৮০ ▨শতাংশ বিক্রিবাটা কমে গিয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে দোকানপাট বন্ধও রাখতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, এভাবে চললে কীভꦜাবে কর্🌞মচারীদের বেতন দেব? বছরের পর বছর ধরে এখানে আছি। কিন্তু এমনটা কোনও দিন দেখিনি।
কিছুদিন আগেও দেখা যেত লোকজন লাইন দিয়ে রাস্তার খাব𝕴ার খাচ্ছেন। তবে গত কয়েকদিন ধরে ছবিটা একেবারে বদলে গিয়েছে। এই রাস্তার দোকানেই ছাত্রছাত্রী থেকে রোগী ও তাদ♔ের পরিজনরা খেতেন। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। একাধিক দোকান আগেভাগে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
কার্যত আরজি কর ও সংলগ্ন এলাকায় আন্দোলনের জেরে মারাত্মক প্রভাব পড়েছে রাস্তার খাবারের দোকানগুলিতে। তেলেভাজার দোকান থেকে কচুꦏরির দোকান সবক্ষেত্রে ক্রেতার সংখ্য়া ক্রমশ কমছে।
এসবের মধ্য়ে কোনও তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি যাতে বেফাঁস কথা না বলেন সেজন্য দলের তরফে সতর্ক করা হয়েছে। এসবের মধ্য়ে সোনারপুর দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হল সোনারপুর থানায়। তিনি উসকানিমূলক𒁃 বক্তব্য রেখেছেন এই অভিযোগ তুলে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। বাম নেতা সায়ন বন্দ্যোপাধ্য়ায় লাভলির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। তিনি লিখেছেন, গত ১ সেপ্টেম🔜্বর সোনারপুর দক্ষিণের বর্তমান বিধায়ক লাভলি মৈত্র উসকানিমূলক বক্তব্য রেখেছিলেন। সায়ন তাঁর অভিযোগে লিখেছেন, বিধায়ক আমাকে ও আমার সিনিয়র কমরেড সুজন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য রেখেছেন। প্রতিহিংসা নেওয়ার জন্য তিনি সেখানে বক্তব্য রেখেছেন।