মাঝখানে থমকে থাকার পর আবার রাজ্যে ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ। ২৬ জুনের পর থেকে রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। গতকাল রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৮০০-এর উপরে। জানিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্যকর্তারা।ജ আর করোনা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জ্বরের ওষুধ বিশেষ করে প্যারাসিটামলের চাহিদা। ফলে প্যারাসিটামলের যোগানে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ না খাওয়া এবং বাড়িতে ওষুধ মজুদ না রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন ওষুধ বিক্রেতা এবং চিকিৎসকরা।
বিক্রেতাদের বক্তব্য, সর্দি-কাশি, সামান্য গা গরম বা ব্যথা হলেই মানুষজন প্যারাসিটামল জাতীয় ๊ওষুধ কিন𒀰ে নিয়ে যাচ্ছেন। বিক্রেতাদের মতে, গত কয়েকদিনে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ যেভাবে বেড়েছে সেই কারণে ওষুধের চাহিদা এক ধাক্কায় এতটা বেড়েছে। ফলে এই জাতীয় ওষুধের যোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে𓃲 না। প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানাচ্ছেন বি🍃ক্রেতেরা। শুধু তাই নয়, দুমাস আগে অর্ডার দেওয়া থাকলেও প্যারাসিটামল ওষুধ মিলছে না বলে তাদের দাবি।
এসএসকেএম চত্বর থেকে শু𒆙রু করে যাদবপুর, এলিগেন রোড সহ কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ওষুধের দোকানগুলিতে এরকমই অবস্থা। ওষুধ বিক্রেতাদের কথায়, সাত দিন আগে প্যারাসিটামলের এরকম চাহিদা ছিল না। কিন্তু, এখন প্রতিদিন ৩০ পাতা করে প্যারাসিটামল বিক্রি হচ্ছে।
এই অবস্থায় চিকিৎসকলাও বলছেন ডাক্তারবাবুর পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়ার কথা। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শিবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জান♛ান, ‘অযথা ওষুধ কিনে বাড়িতে স্টক করার কোনও প্রয়োজন নেই যখন প্রয়োজন হবে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই ওষুধ কিনুন।’ একইভাবে অন্য এক চিকিৎসকও ডাক্তারবাবুর পরামর্শ মেনে ওষুধ খাওয়ার কথা বলেছেন। প্রসঙꦫ্গত করোনার প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় একইভাবে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। ফের করোনার বাড়তেই এই ওষুধের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।