বাতাসে যেন কিসের আস্তরণ পড়েছে। শুক্রবার সকালটা এভাবেই শুরু হল কল্লোলিনী কলকাতার। বোঝা গেল বাতাসের মান খারাপ হয়েছে। কারণ বৃহস্পতিবার রাত নামতেই শহরজুড়ে দেদার ফাটল শব্দবাজি। কোনও নিয়মেরই তোয়াক্কা করলেন না শহরবাসী। ফলে একদিকে শব্দ অন্যদিকে ধোঁয়ায় ভরে গেল গোটা মহানগরী। সুপ্রিম কোর্ট সবুজ আতসবাজি পোড়ানোর উপর জোর দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেদার ফাটল শব্দবাজি।এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বায়ুদূষণের মাত্রা একধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে গেল। এমনকী কলকাতা পুলিশ এই নিয়ম লঙ্ঘনের জেরে ৮৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। একইসঙ্গে ২১৯ কেজি নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত করেছে। রাত ৮টার পর থেকে দেদার শব্দবাজি ফাটানো হয়েছে। রাত ২টো থেকে পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছে বাজি ফাটানোর মোট ৪৫টি অভিযোগ জমা পড়েছে। শহর–শহরতলি আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বাজি পোড়ানো হয়েছে। বায়ুদূষণের মাত্রা কেমন দাঁড়িয়েছিল? জাতীয় বায়ু মান পরিসংখ্যান বলছে, দেদার শব্দবাজি ফাটানোর জেরে বায়ুদূষণ বেড়ে যায় রাতের দিকে। যাদবপুর, বালিগঞ্জ, জোড়াসাঁকো, বিধাননগর এবং রবীন্দ্র সরোবর স্টেশন সংল্গন এলাকায় বায়ুদূষণ মারাত্মক আকারে বেড়েছে। পিএম ২.৫ এবং পিএম ১০ বাতাসে দূষণের মান ছিল।বাতাসে দূষণের এই মান স্বাস্থ্যের পক্ষের ক্ষতিকারক বলেই জানিয়েছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। যাবতীয় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাজি ফাটানো যে বন্ধ হয়নি, তা প্রমাণ করল বায়ুদূষণের ঊর্ধ্বমুখী সূচক। করোনাভাইরাস আবহে এই বায়ু দূষণ হাঁফানি, ব্রঙ্কাইটিস এবং শ্বাস–প্রশ্বাসে সমস্যা হয়। আজ আরও কড়াকড়ি করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।