একের পর এক রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির জেরে জাতীয় দলের মর্যাদা হারাল তৃণমূল। সোমবার নির্বাচন কমিশনের প্রকাশ করা সেই নির্দেশিকা টুইট করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এজন্য মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।এদিন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রকাশ করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে ১৯৬৮ সালের নির্বাচনী প্রতীক নির্দেশিকার ৬ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় দলের স্বীকৃতি প্রত্যাহার করা হল।২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তরপূর্বের ৩ রাজ্য ত্রিপুরা, মণিপুর ও অরুণাচল প্রদেশে ৬ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জাতীয় দলের স্বীকৃতি পায় তৃণমূল। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তারা সেই শর্ত পূরণ করতে পারেনি। গত বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া মেঘালয়ে ১৩ শতাংশ ভোট পেয়ে ৫টি আসন দখল করে তারা। কিন্তু অরুণাচল প্রদেশ ও ত্রিপুরায় রাজ্য দলের স্বীকৃতি হারায়।ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বচানে নোটার থেকেও কম ভোট পায় তৃণমূল। এর পর তাদের জাতীয় দলের স্বীকৃতি কেড়ে নেওয়ার দাবি জানিয়ে টুইট করেন শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার যাবতীয় দিক খতিয়ে দেখে তৃণমূলের জাতীয় দলের স্বীকৃতি ছিনিয়ে নিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন।কমিশনের সিদ্ধান্ত টুইট করে শুভেন্দু লিখেছেন। আমি বিষয়টি আগেই উত্থাপন করেছিলাম। ওদিকে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের দাবি, এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আরও সময় নেওয়া উচিত ছিল কমিশনের। অন্তত আগামী লোকসভা নির্বাচন বা তার পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনগুলি পর্যন্ত অপেক্ষ করতে পারত তারা।জাতীয় দলের স্বীকৃতি চলে যাওয়ায় এখন দেশের অন্যান্য রাজ্যে তৃণমূল প্রার্থীরা ঘাসফুল চিহ্নে লড়তে পারবেন তার কোনও নিশ্চয়তা রইল না।