একটি কুকুর ছাড়াকে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগ উঠল। মুণ্ডুহীন অবস্থায় কুকুরছানার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে দমদমের নাগেরবাজারে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় সরব হয়েছেন পশুপ্রেমীরা। ♔তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু কর✤ে তদন্ত শুরু করেছে নাগেরবাজার থানার পুলিশ। কেউ বা কারা গলা কেটে নির্মমভাবে কুকুরছানাকে হত্যা করেছে বলে পুলিশ মনে করছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন: পথক⛦ুকুরকে শ্বাসরোধ করে হত্যাꦓ, নৃশংস ঘটনা মুম্বইয়ে, ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
পশুপ্রেমী সংস্থার অভিযোগ শুধু মাত্র কুকুর ছানার গলা কাটা ছিল না, তার সামনের ডানদিকের পাও কাটা ছিল। যেখানে পড়েছিল তার চারপাশে রক্ত জমাট বেঁধেছিল। ফলে সেখানেই কুকুর ছানাকে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান। এই বিষয়টি তুলে সংস্থার তরফে সোশ্যাল মাধ্যমে তুলে ধরা হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এত নৃশংসভাবে কেউ কেন কুকুরছানাকে হত্যা করল তা ভেবে কার্যত হতবাক পশুপ্রেমী সংগঠন। প্রথমে পুলিশকে তারা চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানায়। পরে থানায় গিয়ে অভিযোগ জানায়।𒀰 তার ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, কুকুর ছানার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে গত সোমবার। নাগেরবাজারের মিউনিসিপ্যাল লেন এলাকায় মৃতদেহ পড়েছিল। তবে কুকুর ছানার মুণ্ডু খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাতে মনে হচ্ছে কেউ ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করেছে কুকুর ছানাকে শুধু তাই নয়, কুকুর ছানাটির মাও সেখানে অসহায় অবস্থায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। উদ্ধার করার পর প্রথমে সংস্থা দেহ সংরক্ষণ রাখে। পরে তারা দেহ নাগেরবাজার থানায় নিয়ে যান। এদিকে, মঙ্গলবার বিকেলে বেলগাছিয়া পশু হাসপাতালে কুকুরছানাটির মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্🐓য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে নথিপত্র নিয়ে সমস্যা থাকার কারণে এদিন ময়নাতদন্ত সম্ভব হয়নি। আগামী বৃহস্পতিবার দেহ🍃ের ময়না তদন্ত করার দিন ঠিক হয়েছে।
এ বিষয়ে দক্ষিণ দমদম পুরসভা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অভিজিৎ মিত্র উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, এত নির্মমভাবে যে কেউ কুকুর ছানাকে হত্যা করতে পারে তা ভাবতেই অবাক লাগছে। ঘট𝔍নায় এলাকার মানুষজন আতঙ্কিত। কী উদ্দেশ্যে কুকুরছানাকে খুন করা হয়েছে তা পুলিশের খুঁজে বের করা উচিত। এ বিষয়ে তিনি পুলিশকে অনুরোধ জানিয়েছেন বলে দাবি করেন। পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।