অমিত শাহ বাজে নরেন্দ্র মোদী ভাল। এমন এক তত্ত্ব শোনা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। তারপরও কি পূর্বাঞ্চল পরিষদের বৈঠকের আগে–পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পৃথক বৈঠক কি হবে? রাজ্য–রাজনীতির অলিন্দে এখন এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে। যদিও এমন কোনও বৈঠকের কথা সরকারিভাবে জানানো হয়নি। দু’দিকের প্রশাসনিক কর্তারা সেই সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিতে চাইছেন না। এখ𓂃ন এই রাজ্যে ইডি–সিবিআই বাড়তি তৎপরতা দেখাচ্ছে। সেখানে পৃথক꧙ বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটতে চলেছে? পূর্বাঞ্চল পরিষদের বৈঠকে যোগ দিতে ৫ নভেম্বর কলকাতায় আসছেন অমিত শাহ। তাঁর সঙ্গে থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কর্তারাও। এখানে আসার কথা নীতীশ কুমারেরও। এই পূর্বাঞ্চল পরিষদের চেয়ারম্যান অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে থাকার কথা পরিষদಞের ভাইস চেয়ারপার্সন তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ইতিমধ্যেই এই বৈঠকের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্য🌺োপাধ্যায়ের সঙ্গে অমিত শাহের পৃথক বৈঠক হবে কি না, তা নিয়ে নবান্নে চর্চা তুঙ্গে।
আর কী জানা যাচ্ছে? নবান্ন সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী–সহ কর্তা–ব🍌্যক্তিদের আপ্যায়ন করবেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। তাঁদের দেওয়া হবে বাংলার নিজস্ব শৈল্পিক চাদর–সহ বিশেষ সম্মান। হস্তশিল্পের জিনিস দেওয়া হতে পারে অতিথিদের। গোটা বিষয়টির তত্ত্বাবধানে থাকবে শিল্প দফতর। নবান্ন সভাঘরের এই বৈঠকে নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। ২০২০ সালে পূর্বাঞ্চল পরিষদের বৈঠক হয়েছিল ওড়িশায়। তখনও অমিত–ম🐷মতা ছিলেন বৈঠকে।
কী নিয়ে বৈঠক হতে চলেছে? সূত্রের খবর, পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে সমন্বয়, নিরাপত্⛦তা নিয়ে আলোচনা হবে। বিএসএফ–এর ক্ষমতা বৃদ্ধির স💯িদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। কারণ এই রাজ্য বিষয়টি নিয়ে বিরোধিতা করেছিল। পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব এবং অসমে বিএসএফ–এর কাজের এক্তিয়ার বাড়ানো হয়েছে। রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া একতরফা এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার বৈঠকে ওই প্রসঙ্গ ওঠার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পৃথক বৈঠক হলে সেখানে সিএএ নিয়ে কথা হতে পারে।