পূর্ব–নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দিয়ে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চলে গেলেন সংগীতশিল্পী পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর বাড়িতে। অমিত শাহকে স্বাগত জানান পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী। তারপর পণ্ডিত♌ অজয় চক্রবর্তীর সংগীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শ্রুতিনন্দনে পৌঁছন অমিত শাহ। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।
টালিগঞ্জের গলফ ক্লাব রোডে পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর সংগীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শ্রুতিনন্দনের সামনে অমিত শাহকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন অর্জুন সিং এবং সব্যসাচী দত্ত। তবে এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেন আসছেন? কী ব্যবস্থা তাঁর জন্য রাখা হয়েছে? এইসব প্রশ্ন করা হয়। উত্তরে পণ্ডিতজি সরা💞সরি জানিয়ে দেন, ‘আমি রাজনীতির মানুষ নই। আমি সংগীত জগতের মানুষ। এখানে কোনও রাজনীতির যোগ নেই। এখানে প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামও এসেছিলেন। আর ব্যবস্থা বলতে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন রয়েছে। উনি করতে চাইলে করতে পারেন।’
কিন্🍌তু হঠাৎ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আগমন কেন? এই প্রশ্ন শুন🐷েই পণ্ডিতজির সরল প্রতিক্রিয়া, ‘একজন বিশিষ্ট বড়মাপের মানুষ আমার বাড়িতে আসছেন এটা জেনেই আমি খুব খুশি। তাছাড়া আমি তো আমন্ত্রণ করিনি। আসতে চেয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আমি তাঁকে স্বাগত জানাব।’ সুতরাং এটা যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিজের ইচ্ছায় আসা তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন পণ্ডিতজি। যাতে পরবর্তী ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা না হয় বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
উল্লেখ্য, এই বৈঠকের ব্যবস্থা করেছিলেন মুকুল রায় এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাই সাতসকালে পণ্ডিতজির বাড়িতে গিয়েছিলেন তাঁরা। আজ দক্ষিণেশ্বরে দাঁ▨ড়িয়ে অমিত শাহ বলেন, ‘এই ভূমি শ্রীরামকৃষ্ণ, শ্রীচৈতন্যের। বাংলার হারিয়ে যাওয়া গৌরব ফিরিয়ে আনতে হবে। তোষণের রাজনীতিতে ঐতিহ্য ক্ষুণ্ন হচ্ছে। বাংলার এই ভূমি পবিত্রভূমি। বাংলাবাসীকে বলব একজোট হয়ে দায়িত্ব পালন করুন। মা কালীর কাছে গোটা দেশ তথা♔ বাংলার মঙ্গল কামনা করেছি। মোদীর নেতৃত্বে দেশ সেরার সেরা হবে তাই চাই।’ তবে দু’জনের মধ্যে কি বিষয়ে কথা হয়েছে তা কেউ প্রকাশ্যে আনেননি।