ট্রেন চালকের তৎপরতায় রক্ষা পেল একদল হাতি। দু’দিন আগে কামরূপ এক্সপ্রেসের লোকো পাইলট ট্রেন লাইনে হাতির দলকে দেখতে পান দূর থেকে। তখন ট্রেন চলছিল রুদ্ধশ্বাস গতিতে। যে গতি থামানো না গেলে ওই হাতির দলকে মৃত্যুর থেকে কেউ বাঁচাতে পারত না। আচমকাই একটি হাতির দলকে রেললাইন ধরে হাঁটতে দে🃏খা যায়🃏। রেলের লাইনের ওপর হাতি দেখতে পেয়েই ট্রেনের লোকো পাইলট এবং অ্যাসিস্টেন্ট লোকো পাইলটের তৎপরতায় জরুরি ভিত্তিতে ব্রেক কষেন তাঁরা। ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তার জেরেই বাঁচল ওই হাতির দল।
এই ঘটনাটি ঘটেছে চ🍌লতি বছরের ১৬ অক্টোবর। ট্রেন নম্বর ১৫৯৫৯ কামরূপ এক্সপ্রেসের লোকো পাইলট জেডি দাস এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলট উমেশ কুমার হাবাইপুর ও লামসাখাং স্টেশনের মধ্যে একদল হাতিকে রেলওয়ে ট্র্যাক টপকাতে দেখেন। তখন ট্রেনের গতি ছিল চরমে। দূর থেকে দেখতে পেয়ে ধীরে ধীরে গতি কমাতে শুরু করেন তাঁরা। ট্রেনটি হাওড়া থেকে গুয়াহাটি হয়ে লামডিং যাচ্ছিল। তখন ট্রেনের গতি কমাতে সক্ষম হওয়ায় প্রাণে বেঁচে গেল হাতির দল। আর সেটি ট্রেন থেকে মুখ বাড়িয়ে দেখে সন্তুষ্ট হন তাঁরা। গজরাজের দল ট্রেনের লাইন যখন টপকাচ্ছিল তখন তা তাঁদের দেখতেও ভাল লাগছিল বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘জ্যোতিবাবুর মতো পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে তুলে দেননি’, জুনিয়র ডাক্তারদের জবাব কুণালের
এই দৃশ্য দেখে সতর্ক লোকো পাইলট এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলট সঙ্গে সঙ্গে ইমার্জেন্সি ব্রেক প্রয়োগ করেন। তার জেরে ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়নি হাতির দলের। প্রায় ৬০টি হাতির দল প্রাণে বেঁচে যায়। এই ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট সেকশনে কার্যকর হয়ে থাকা আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্স ভিত্তিক ইনট্রুশন ডিটেকশন সিস্টেমের দ্বারা ট্রেনটির চালকদের সতর্ক করা হয়েꩲছিল বলে সূত্রের খবর। উত্তর–পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে উত্তর–পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে জুড়ে থাকাꦉ অন্যান্য এলিফেন্ট করিডোরগুলিতেও একই প্রযুক্তি ব্যবহার করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মহানন্দা ওয়াইল্ড লাইফ ডিভিশনের একটি রুট হাতি চলাচলের করিডর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই রুট ধরে প্রচুর হাতি চলাচল করে থাকে। আর বন্যপ্রানীরা রেললাইন পারাপার করে অভয়ারন্যের এপার থেকে ওপারে যাতায়াত করে। তাই মাঝেমধ্যেই হাতির দল এবং অন্যান্য বন্যপ্রানীরা রেললাইনে চলে আসে। তবে এবার যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটা অন্যরকম। আর তꦰাই ওই পদ্ধতি ব্যবহার করে রেলওয়ে ট্র্যাক অতিক্রম করার সময় ট্রেনের ধাক্কা থ🐈েকে একাধিক হাতির প্রাণ বাঁচানোর ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই ব্যাপক সাফল্য লাভ করেছে।