আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারককে হুমকি চিঠি দেওয়🅠া হয়েছিল। তা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়ে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কে এই হুমকি চিঠি পাঠাল বিচারককে? কারণ অনুব্রত মণ্ডল তো সিবিআই হেফাজতে। তিনি তো এই কাজ করতে পারবেন না। এই হুমকি চিঠির বিষয়টি বিচারক নিজেই জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে। ওই হুমকি চিঠিটি লিখেছে বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি। যদিও এই নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি জানাতে চলেছেন স্বয়ং অনুব্রত মণ্ডল।
এই চিঠি কে লিখেছে? এই বিষয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এই চিঠি নিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা বিজেপি করেছে।’ এই কথা তিনি একাধিকবার বলতে থাকেন সংবাদমাধ্যমে। অনুব্রত মণ্ডলের এই মন্তব্য নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কারণ এই চিঠির মাধ্যমে তাঁকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন অনুব্রত। মঙ্গলবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে বিচারপতিরাও সুরক্ষিত নয়। তাই আমি বলব মামলা রাজ্যের বাইরে পাঠানো হোক। বাংলায় জঙ্গল রাজ চলছ♐ে।’ তারপরই এই চিঠি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
আজ কী বললেন অনুব্রত? আজ, বুধবার আসানসোলে🦹 বিশেষ সিবিআই আদালতে যাওয়ার সময় অনুব্রত মণ্ডল জানালেন, বিচারককে মাদক মামলায় ফাঁসানোর হুমকি চিঠির প্রেক্ষিতে সিবিআই তদন্ত চাইবেন তিনি। তাতে আরও আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি জজসাহেবকে বলব। যারা জজসাহেব সম্পর্কে এসব ব♏লেছে। আমি সিবিআই তদন্ত চাইব।’ তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, বিচারককಞে হুমকি চিঠির পর কি জামিন নিয়ে আপনি আশাবাদী? অনুব্রত শান্ত গলায় জবাব দিলেন, ‘সেটা আদালত বলবে।’
ঠিক কী লেখা ছিল চিঠিতে? বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীকে হুমক🤪ি চিঠি দেওয়া হয়েছিল। সেই চিঠিতে লেখা ছিল, ‘অনুব্রত মণ্ডলকে জামিন দিতে হবে। আর তা না হলে বিচারক ও তাঁর পরিবারকে এনডিপিএস বা মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে। গাঁজা কেসে ফাঁসানো হবে।’ তলায় নাম লেখা ছিল বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়। তার পর থেকেই শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। অনুব্রত মণ্ডলের ১৪ দিনের সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ বুধবার শেষ হচ্ছে।