‘অটো চালাই বলে কি মানুষ নই!’—এমন কথা প্রায়ই অটোচালকের মুখ থেকে শুনে থাকেন সাধারণ মানুষ। সুযোগ–সুবিধা নিয়ে তাঁদের মধ্যেও ক্ষোভ আছে। এবার অটো রুটেও কর্পোরেট কালচার এসে গিয়েছে। এবার অটোচালকদের সপ্তাহে দু’দিন ছুটি মিলছে। এই দু’দিন ছুটি আইটি সংস্থা বা বহুজাতিক সংস্থায় দেওয়া হয়ে থাকে। তাই কলকাতার কিছু অটো রুটে এই নতুন কর্মসংস্কৃতি শুরু হয়েছে। এবার এটাই সর্বত্র ছড়িয়ে পড়তে চলেছে বলে খবর।এই পদক্ষেপে কী লাভ হবে? জানা গিয়েছে, এই সংস্কৃতি সর্বত্র চালু হয়ে গেলে অটোচালকরা একটু বিশ্রাম পাবে। তার উপর রাস্তায় অটোর ভিড় কমবে। এমনকী অটোচালক যাত্রী না পেয়ে যাতে লোকসানের মুখ না দেখে তা নিশ্চিত করা যাবে। এখন অটোর যাত্রী সংখ্যা কমে গিয়েছে। তাই এই পদক্ষেপে সবদিকে দিয়েই লাভ হবে আটোচালকদের। কিভাবে গোটা বিষয়টি ঘটছে? প্রতিটি অটো রুটে রুট কমিটি আছে। তারাই ঠিক করে দিচ্ছে কোন অটো কোন দু’দিন বন্ধ থাকবে। আর তার জায়গায় কোন অটো দু’দিন রাস্তায় চলবে। অটোর গায়ে তা লেখাও থাকছে। সব রুটে এই নয়া নিয়ম চালু হয়নি। তবে একাধিক রুটে এই সংস্কৃতি এসে গিয়েছে। সপ্তাহে সাতদিনের বদলে পাঁচদিন অটো নামার প্রবণতা দেখা দিয়েছে।কোথায় কোথায় এই কর্মসংস্কৃতি শুরু হয়েছে? জানা গিয়েছে, মেছুয়া–ফুলবাগান রুট ভেঙে তৈরি হয়েছে মেছুয়া–কাদাপাড়া রুট। এখানে ২৫০ অটো চলে। এখানে দু’দিন করে সব অটোকেই বন্ধ রাখা হচ্ছে। অটোর সামনে লেখা আছে মঙ্গল–বৃহস্পতি, সোম–শুক্র সহ নানা দিনের কথা। অর্থাৎ এই দু’দিন সংশ্লিষ্ট অটো চলবে না। এই বিষয়ে আইএনটিটিইউসি’র অটো সংগঠনের সদস্য মদনমোহন ঘোষ বলেন, ‘লকডাউনের পর যাত্রী সংখ্যা কমেছে অটোতে। তাই বহু রুটে সপ্তাহে দু’দিন করে অটো বসানো হচ্ছে। যাতে সকলেই অটোতেই যাত্রী পান।’