রাজ্যজুড়ে এবার আয়ুষ ডিসপেনসারি খোলার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। এই উদ্যোগের পিছনে রয়েছে দুটি কারণ। এক, শহরতলি এবং গ্রামবাংলার মানুষজন যাতে সস্তায় ওষুধ পেতে পারে। দুই, এই ডিসপেনসারি খুললে সেখানে লোকের প্রয়োজন হবে। সেক্ষেত্রে সরাসরি কর্মসংস্থান হ🌠বে। বাংলার ছেলে–মেয়েরা এখানে চাকরি পাবে। আর তাই এই লক্ষ্যেই রাজ্যজুড়ে ১২০টি আয়ুষ ডিসপেনসারি খোলার পরিকল্পনা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য দফতর এই কাজটি করতে একটা পরিকল্পনা ছকে ফেলেছে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী, গোটা রাজ্যে ৭০টি হোমিওপ্যাথি, ৪০টি আয়ুর্বেদিক এবং ১০টি ইউনানি ডিসপেনসারি খোলা হবে। তবে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সমস্ত জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের জানিয়েছে, সমস্ত জেলায় জায়গা খুঁজে বের করতে হবে ꧅যাতে আয়ুষ ডিসপেনসারি খোলা যায়। আর এ♌টা গড়ে তুলতে পারলে সমস্ত জেলার মানুষজন সস্তায় ওষুধপত্র পাবেন। তাতে একদিকে মানুষের অসুখের ওষুধ কম দামে মিলবে। আবার ওষুধের দোকান হন্যে হয়ে খুঁজতে হবে না।
অন্যদিকে উত্তর ২৪ পরগনায় বড় আকারে এ𝔉ই বিষয়টি বাস্তবায়িত করতে চাইছে রাজ্য সরকার। সেক্ষেত্রে ১৭ ইউনিট এখানে খোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ৯টি হোমিওপ্যাথিক, ৭টি আয়ুর্বেদিক এবং একটি ইউনানি ডিসপেনসারি খোলার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাছাড়া কলকাতায় ১৫টি ইউনিট খোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ১০টি হোমিওপ্যাথিক এবং ৫টি আয়ুর্বেদিক ডিসপেনসারি। এটা গড়ে তুলতে পারলে শহরের মানুষজনও সস্তায় ওষুধ পাবেন এবং একটা🌄 ভরসাযোগ্য জায়গা তৈরি হবে।
আরও পড়ুন: কৌস্তভ বাগচীর দেহরক্ষীর সা▨র্ভিস রিভলভার–কার্তুজ চুরি, খোয়া গেল নেতার ব্যাগ, ত⭕ারপর?
আর কী জানা য🔜াচ্ছে? সরকারি সূত্রে খবর, এই গোটা পরিকল্পনাটি করা হচ্ছে একটি বড় লক্ষ্য নিয়ে। সেটি হল—সমস্ত জেলায় আয়ুষ ডিসপেনসারি খুললে কম পয়সায় স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া যাবে মানুষকে। শহরতলি এবং গ্রামবাংলার বহু মানুষকে এই পরিষেবা পেতে শহরে আসতে হয়। তাছাড়া উপযুক্ত ওষুধ পাওয়া যায় না। সেটা সম্ভব হবে খুব সহজেই। আর তাই প্রত্যেকটি জেলার সিএমওএইচ–কে বলা হয়েছে, আয়ুষ ডিসপেনসারি আছে এমন জায়গা খুঁজে বের করতে। আর যেগুলি ছোট স্বাস্থ্য ক্লিনিক রয়েছে সেগুলিতে উন্নীত করে আয়ুষ ডিসপেনসারি যাতে করা যায় তার ব্যবস্থা করতে হবে।