রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার আলিফ নুর ওরফে মুকুলের কাছে কত টাকা গচ্ছিত রেখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার জেলবন্দি প্রাক্তন সদস্য জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক? জ্যোতিপ্রিয়র মেয়ের কাছ থেকে উদ্ধার বাবার চিঠি থেকে তা বোঝার চেষ্টা করছেন ইড𓆏ির তদন্তকারীরা। গোয়েন্দারা জানাচ্ছে, বালুর সঙ্গে আলিফ ওরফে মুকুলের লেনদেনের অকাট্য প্রমাণ হাতে থাকলেও এই নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না কেউ। তাই আপাতত অনুমানের ভিত্তিতে আলিফ নুরের কাছে গচ্ছিত বালুর টাকার অংকের হদিশ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন - গ্ꦫরেফতারির পর হাসপাতালে বসে🍌ও রেশন দুর্নীতির টাকার বখরা নিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়: ED
পড়তে থাকুন - বারো বছরের পুরনো♈ ঘটনায় নবদ্বীপে ইসকনের প্রাক্তন আধিকারিককে গ্রেফতার করল পুলিশ
রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতারির পর অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে SSKM হাসপাতালে ভর্তি হন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। উডবার্ন ওয়ার্ডে বিলাসবহুল কেবিনে আশ্রয় নেন তিনি। জ্যোতিপ্রিয়র কেবিনে কারা ঢুকছে তা জানতে কেবিনের সামনে ও ভিতরে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো🎃র সিদ্ধান্ত নেয় ইডি। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন জ্যোতিপ্রিয়। সেই মামলার রায়ে গত ১৫ ডিসেম্বর কলকাতা হাইকোর্ট জানায়, জ্যোতিপ্রিয়র কেবিনের ভিতরে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো চলবে না। তাঁর কেবিনের বাইরে পাহারায় থাকবেন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীরা। তাদের পরিচালনা করবেন ইডির আধিকারিকরা।
আদালতের নির্দেশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে SSKM জ্যোতিপ্রিয়র ঘর থেকে সিসিটি🍎ভি ক্যামেরা খুলে ফেলা হয়। এর পরদিন সকাল সকাল বাবার সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে পৌঁছে যান জ্যোতিপ্রিয়র মেয়ে প্রিয়দর্শিনী। বাবার সঙ🌟্গে দেখা করে বেরনোর সময় তাঁর কাছ থেকে একটি চিঠি উদ্ধার করে ইডি। সেই চিঠিই এখন রেশন দুর্নীতিতে ইডির প্রধান হাতিয়ার।
জ্যোতিপ্রিয়র নিজে হাতে সেই চিঠিতে শাহজা🍰হান, শꦦংকর আঢ্য ওরফে ডাকু ও মুকুল ওরফে আলিফ নুরের নাম রয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর,🎀 সেই চিঠিতেই মেয়েকে মুকুলের কাছ থেকে মাসে মাসে ১০ লক্ষ টাকা করে সুদ সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। সঙ্গে লিখেছিলেন, আসল টাকাও মুকুলের কাছেই রয়েছে। তবে সেই টাকায় হাত দিও না। তবে জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্🦂গে লেনদেনের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মুকুল।
আরও পড়ুন - স্কুলের মিড - ডে মিলের চাল চুরি করতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা পড়ল তৃণম𒁃ূল নেতা
এর পরই মুকুলের কাছে গচ্ছিত জ্যোতিপ্রিয়র মোট টাকার পরিমাণ কত তা বোঝার চেষ্টা করছেন ইডির আধিকারিকরা। গোয়েন্দাদের অনুমান, বালুর অন্তত ২০ কোটি টাকা গচ্ছিত রয়েছে মুকুলের কাছে। ইডির তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বালু ও মুকুলের হিসাবরক্ষক শান্তনু ভট্টাচার্যের বাড়িতে তল🐭্লাশি চালিয়ে তাদের লেনদেনের একটা হিসাব হাতে এসেছে। সেই হিসাব অনুসারে বালুকে অন্তত ৯৪ লক্ষ নগদ দিয়েছিলেন মুকুল। সঙ্গে ৭০ লক্ষ টাকা প্রাক্তন মন্ত্রীর বিভিন্ন সংস্থায় পাঠানো হয়।