বেহালা জোড়া খুনে জামাইকে নির্দোষ বলেই মনে করছেন শ্বশুর। বেহালায় ঘরের মধ্যে মা ও ছেলের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। দু'জনকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। ইতমধ্যে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মা-ছেলের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুয়ায়ী, তাঁদের বিকেল ৩ টে থেকে ৫ টার মধ্যেই খুন করা হয়েছে। মৃতদের পাকস্থলীতে খাবার মিলেছে। নমুনা দেখে তদন্তকারীদের অনুমান, সচেতন অবস্থাতেই ধারালো কোনও অস্ত্র দিয়েই খুন করা হয়েছে দু'জনকে। শুধু তাই নয়, সুস্মিতাদেবীর শরীরে ২০টি জায়গায় ও শিশুটির দেহে ৫টি জায়গায় ক্ষতচিহ্ন মিলেছে। তবে সচেতন অবস্থায় খুন করা হলেও সেই অর্থে প্রতিরোধের কোনও চিহ্ন বা আঘাত পাওয়া যায়নি। এখানেই তদন্তকারীদের খটকা লাগছে। অন্যদিকে, বেহালা জোড়া খুনের ঘটনায় আটক সুস্মিতার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে তদন্তকারীরা। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ঘটনার দিন অফিস থেকে বেরিয়ে খিদিরপুরে ক্রেতার কাছে গিয়েছিলেন তপন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে এর স্বপক্ষে প্রমাণও পেয়েছেন তাঁরা। তদন্তকারীরা আরও জানতে পেরেছেন, ঘটনার দিন দুপুর থেকে বিকেলের মধ্যে প্রায় ৬ থেকে ৭ বার স্ত্রী'কে ফোনও করেন তপন। যদিও তাঁর জামাই এই খুন করতে পারেন না বলেই দাবি করেছেন সুস্মিতার বাবা। তিনি, বলেন, 'কী আছে না আছে, জানি না। জামাই যদি দোষী হত, তাহলে পুলিশ ওকে গ্রেফতার করত। তবে লালবাজার ওকে ছেড়ে দিয়েছে। দোষী কে, তাকে খুঁজে বের করা হোক। তার শাস্তি চাইছি।' প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে বেহালার পর্ণশ্রীর ফ্ল্যাটে মা ও ছেলের জোড়া গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয়। ঘরে ঢুকে স্ত্রী সুস্মিতা ও ছেলে তমজিতের গলাকাটা দেহ দেখতে পান তপন মণ্ডল। তদন্তে নেমে মঙ্গলবার স্বামীকে আটক করে পুলিশ। তাঁর বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে বলে খবর।