রামেশ্বরম কাফে বিস্ফোরণ কাণ্ডে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল এনআইএ। বাংলায় এসে তারা গা–ঢাকা দিয়েছিল। বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে আইইডি বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত ছিল এই দু’জন। অবশেষে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল এনআইএ। অভিযুক্ত এই দু’জন কলকাতা সংলগ্ন কাঁথি এলাকাতেই লুকিয়ে ছিল। আজ, শুক্রবার তাদের গ্রেফতার করে এনআইএ। দীর্ঘদিন ধরে এনআইএ এই দু’জনকে খুঁজে বেড়াচ্ছিল। আইইডি দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। একজন এই আইইডি রেখে এসেছিল। অপর ব্যক্তি গোটা বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড ছিল।এই বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত মূল অভিযুক্ত মুজাম্মিল শরিফকে টানা ২৭ দিন পর পুলিশ গ্রেফতার করতে পারলেও বাকি দু’জন অভিযুক্তের সন্ধান পাচ্ছিলেন না তাঁরা। এনআইএ তাঁদের খোঁজ পেতে আর্থিক পুরষ্কারের কথা পর্যন্ত ঘোষণা করেছিল। বিজ্ঞপ্তি জারি করে তারা এই দুই সন্দেহভাজনের বিষয়ে পুলিশকে হদিশ দিতে পারলেই মিলবে ২০ লক্ষ টাকা বলে পুরষ্কার ঘোষণা করেন। এবার দু’জন ধরা পড়েছে। ধৃত দু’জন হল– ওই হামলায় মূল অভিযুক্ত আবদুল মাথিন ত্বহা এবং মুসাভির হুসেন সাজিব। এই দু’জন ২০২০ সাল থেকে এনআইএ’র আতসকাচের নীচে ছিল। সন্ত্রাসবাদ কার্যকলাপেও এদের নাম ছিল বলে এনআইএ সূত্রে খবর।এদিকে গোটা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল পরিকল্পনা করে। বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে আইইডি বিস্ফোরক রেখে যাওয়া হয়েছিল। তাতে আহত হয়েছিলেন কমপক্ষে ১০ জন। তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজে দেখতে পাওয়া যায়, এক যুবক কালো রঙের ব্যাগ নিয়ে এসে সেখানে রাখে। মুখে মাস্ক পরা অবস্থায় ওই যুবক ইডলি অর্ডার করে। খাবার খেয়ে সে বেরিয়ে যাওয়ার সময় টেবিলের নীচে রেখে যায় ব্যাগটি। ঠিক তার ১০ মিনিটের মাথায় ক্যাফেতে বিস্ফোরণ হয়। ঝলসে যান অনেকে। কাঁথিতে গা–ঢাকা দিয়েছিল দুই অভিযুক্ত। তারা পরিচয় গোপন রেখে ছিল। আজ এনআইএ, পশ্চিমবঙ্গ, তেলাঙ্গানা, কর্নাটক এবং কেরল পুলিশের যৌথ অভিযানে অভিযুক্ত দু’জনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।অন্যদিকে মুসাভির হুসেন সাজিব অন্য নাম ব্যবহার করছিল। সে মহম্মদ জুনেদ শাহিদ নাম ব্যবহার করছিল। আর আবদুল মাথিন ত্বহা হিন্দু নাম ভিগ্নেশ ব্যবহার করছিল। তাই তাদের নাগাল পাওয়া যাচ্ছিল না। আবদুল মাথিন এই বিস্ফোরণ কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড। কেমন করে বিস্ফোরক রাখা হবে, কতক্ষণ বাদে বিস্ফোরণ হবে এবং তারপর সেখান থেকে কেমন করে মুসাভির পালিয়ে আসবে সব পরিকল্পনা করেছিল আবদুলই।