অমিত শাহ বেঁধে দিয়েছেন ৩৫টি লোকসভা আসন। ২০১৯ সালে বাংলা থেকে মেলে ১৮টি আসন। সে কটাও কি ধরে রাখা যাবে? এখন এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজ্য– রাজনীতিতে। কারণ বঙ্গ–বিজেপি নেতাদের নিয়ে সরাসরি তথাগত রায় থেকে অনুপম হাজরা হাটের মাঝে হাঁড়ি ভেঙে দিয়েছেন। বাংলার বিজেপি নেতারা ভোটের ইস্যু ছেড়ে পদের পিছনে দৌড়চ্ছেন এবং বাংলার বিজেপি ফুটো কলসি মাত্র! এমনই সব মন্তব্য করেছেন তাঁরা। ছত্রে ছত্রে রাজ্য বিজেপির ক্ষমতাসীꦇন শিবিরকে তুলোধনা করেছেন তথাগত রায়। তাঁর অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের কোনও ইস্যু নেই। পদ নিয়েই ব্যস্ত দলের নেতারা।
ঠিক কী বলেছেন অনুপম? এদিকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অনুপম হাজরার বক্তব্যও অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে বঙ্গ–বিজেপির নেতাদের। অনুপমের বক্তব্য, ‘নেতৃত্বের দোষেই বাংলার বিজেপি ‘ফুটো কলসি’ হয়ে গিয়েছে। হাজার জল ঢেলেও তা ভরা সম্ভব নয়। দলীয় কর্মীদের আবেগ, ভালবাসা ওই ফুটো দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। নেতৃত্বের খারাপ কাজের প্রতিবাদ করলেই মিলছে শাস্তি। অথচ বুথ স্তরের কর্মীরা দলকে জেতানোর জন্য বুক চিতিয়ে লড়াই করছেন। যোগ্য কর্মীরা গুরুত্ব পাচ্ছেন না। তাই দলের 𒆙আজ এই হাল। এখনই না শোধরালে লোকসভা নির্বাচনে পাঁচটি আসন জিততে কালঘাম ছুটবে।’
ঠিক কী বলেছেন তথাগত? আদি নেতা তথাগত রায় এবার বিস্ফোরক কথা লিখেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি লেখেন, ‘নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ছ’মাস। কিন্তু প্রচারে তুলে আনার মতো একটি নির্দিষ্ট ইস্যুও বঙ্গ বিজেপির হাতে নেই! শুধু দলীয় পদ নিয়েই ব্যস্ত নেতারা। মানুষের কাছে পৌঁছনো নয়, দলের পদ কুক্ষিগত করতেই ব্যস্ত কার্যকর্তারা। সংগঠন ধরে রাখতে দলের নীতি ও প্রচারের বিষয় থাকা দরকার। দলের কোনও মুখপত্র নেই। দলকে এগিয়ে নিয়ে 🍸যাওয়ার প🦩্রচেষ্টা নেই। কে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং মণ্ডলের দায়িত্ব পাবেন সেটা নিয়ে ব্যস্ত সবাই। ভাবনাচিন্তার জায়গাটা ব্রাত্য হয়ে রয়েছে।’
আরও পড়ুন: ‘মহুয়া মৈত্র আমার বাড়িতে এসেছিল’, 🦋বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন আইনজীবী জয় অনন্ত
আর কী জানা যাচ্ছে? তথাগতꦺ রায় এবং অনুপম হাজরা যা বলছেন তা শুনতে ভাল লাগছে না বঙ্গ–বিজেপির নেতাদের। সূত্রের খবর, বিজেপি একটি সমীক্ষা করে রিপোর্ট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, এভাবে চললে ৯টি আসনের বেশি বাংলা থেকে মিলবে না। এই প্রেক্ষিতে তথাগত রায়ের কথায়, ‘বিজেপিতে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই বলে সংগঠন। এই সংগঠন তো বানাতে হবে। সংগঠন মানে কিছু মানুষের সমষ্টি। সেই সমষ্টি ধরে রাখবে কে?’ আর এই প্রেক্ষাপটে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘তৎকাল, দলবদলু, আদি, নব্য ইত্যাদি নানা গোষ্ঠীতে বিভক্ত বিজেপি। ৪২টি আসনেই যে তারা এবার হারছে, সেটাই স্বীকার করে ফেলছেন বিজেপি নেতারা।’