দুর্গাপুজোর পর রাজ্যে বেড়েছে করোনাভাইরাস। কিন্তু প্রায় দেড় বছর পর রাজ্যে খুলতে চলেছে🍌 স্কুল। আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে স্কুল খুলতে চলেছে রাজ্যে। এই ঘোষণা করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রꦛী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে রাজ্যের শিক্ষামহল। সেখানে এই সিদ্ধান্তকে পরিকল্পনাহীন বলে কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ ডঃ সুভাষ সরকার। তিনি বলেন, ‘পরিকল্পনা না করে এই রাজ্যে স্কুল–কলেজ খোলা উচিত নয়।’
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্যানিটাইজেশনের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে শেষ করার জন্য কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত চলবে ক্লাস। আগামী বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে মার্চ মাসে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হবে এপ্রিল মাসে। তাই এই মুহূর্তে স্কুল খোলা নিয়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে উঠেছে।। নিয়মিত চলছে স্যানিটাইজেশনের কাজ। যাতে শারী﷽রিক দূরত্ব বজাﷺয় রেখে বসতে পারে ছাত্রছাত্রীরা।
এই উদ্যোগকেই পরিকল্পনাহীন বলেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্🤪রী তথা বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ ড. সুভাষ সরকার বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত পরিকল্পনা করে নিলে ভাল হতো। এখন স্কুল–কলেজ খোলা হচ্ছে কিন্তু কীভাবে পডুয়ারা স্কুলে যাবে সেটা ঠিক হয়নি। লোকাল ট্রেন এখনও চালু হয়নি। পরিকল্পনাহীন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার স্কুল–কলেজ নিয়ে মোট ১৪টি অ্যাডভাইজারি পাঠিয়েছে। রাজ্য সরকার তার কোনও উত্তর দেয়নি। দুর্গাপুজোর সময় লোক বের হয়েছে এবং করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। শিক্ষক–অশিক্ষক কর্মচারীদের দু’ডোজের টিকা নেওয়া থাকতে হবে। অভিভাবকদের মতামত নিতে হবে। ১৫ দিন অন্তর🅠 সব পড়ুয়ার পরীক্ষা করানো দরকার। একদিন অন্তর পড়ুয়াদের আসতে বলা।’