লোকসভা নির্বাচনে মানুষের রায়ে সাফল্য ঘরে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেসের। কিন্তু এই সাফল্যের পিছনে একটু চিন্তাও যোগ হয়েছে। সেটা হল—শহরের মানুষজনের দেওয়া ভো🍬টের পরিসংখ্যানে বিজেপির ভোট বেড়েছে। এই আবহে এবার আগামী পরশু, সোমবার নবান্নে রাজ্যের একাধিক পুরসভার চেয়ারম্যান ও পুরসভার অফিসারদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং সব জেলার জেলাশাসকরা। কিন্তু এই বৈঠক থেকে বাদ পড়েছে তাহেরপুর এবং ঝালদা পুরসভা। আর তা নিয়ে এবার তৃণমূল কংগ্রেসকে ঠুকলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজ, শনিবার এই নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে আক্রমণ করলেন শুভেন্দু।
এবার ন🦋বান্নের এই প্রশাসনিক স্তরের বৈঠকে একটা নতুন তথ্য উঠে আসছে। সেটা হল, সোমবারের ওই প্রশাসনিক বৈঠকে ডাক পায়নি তাহেরপুর এবং ঝালদা পুরসভা। আর বাংলার এই দু’টি পুরসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের বোর্ড নেই। তাহেরপুর পুরসভা বামেদের। আর ঝালদা পুরসভা কংগ্রেসের। আর এই ঘটনা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী এক্স হ্যান্ডেলে আক্রমণ করে লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের অর্থ জনগণের সরকার, জনগণের দ্বারা এবং জনগণের জন্য নয়। এখানে সবটাই দলের প্রতি নিয়োজিত। তার প্রমাণ হল—এই বৈঠকে সব পুরসভাই ডাক পেল। শুধু তাহেরপুর এবং ঝালদা পেল না।’
কেন এই দুটি পুরসভা বাদ গেল? উঠছে প্রশ্ন। বিরোধী বোর্ড সেখানে আছে ♛বলেই কি ব্রাত্য তাহেরপুর–ঝালদা? এই প্রশ্নও চর্চিত হচ্ছে নানা মহলে। সোমবার পুরসভার চেয়ারম্যানদের নিয়ে যে প্রশাসনিক বৈঠক হবে সেখানে সরকারি পরিষেবা প্রদানের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। এই বিষয়টি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী আজ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের মেমো থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, এই বৈঠকে তাহেরপুর এবং ঝালদা পুরসভার চেয়ারপা🧸র্সনদের বৈঠকে উপস্থিত বিশেষ করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’ এই লেখার সঙ্গে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের সংশ্লিষ্ট মেমো পর্যন্ত পোস্ট করেছেন বিরোধী দলনেতা।
আরও পড়ুন: তৃণমূল সুপ্রিমোর নির্দেশে শোকজ দুই কাউন্সিলর, চিঠি প꧂াঠালেন রাজ্য সভাপতি বক্সি
আরও পড়ুন: পুরসভার চেয়াꦓরম্যানদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক নবান্🍌নে, ব্রাত্য থাকল তাহেরপুর–ঝালদা
এই বিষয়টি নিয়ে এখন জ🙈োর চর্চা শুরু হয়েছে। পরিষেবার দিক থেকে কোনও ঘাটতি আছেল কিনা সেটা জানতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এই বৈঠক। তবে এই প্রশাসনিক বৈঠকে বাদ পড়েছে তাহেরপুর–ঝালদা পুরসভা। যা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ‘কেন এমনটা করা হল? কারণ এই দুটি পুরসভায় বোর্ড গড়তে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। সরকারি দফতর কি এমন বৈষম্য করতে পারে? এটা সম্পূর্ণ জনগণের ইচ্ছাকে ক্ষুন্ন করা হচ্ছে।’ এই ভাষাতেই এক্স হ্যান্ডেলে লিখে তৃণমূল কংগ্রেস এবং রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন নন্দীগ্র🦄ামের বিধায়ক।