রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এখন গুরুতর অসুস্থ হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দলমত নির্বিশেষে তাঁকে দেখতে যাচ্ছেন নেতা–নেত্রীরা। শাসক–বিরোধী সবাই উৎকণ্ঠায় আছেন। এমন আবহে ফেসবুক পোস্টে এবং সাংবাদিক বৈঠকে বোমা ফাটালেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। বুদ্ধবাবুকে ‘মহাপুরুষ’ না ব⛄ানানোর আবেদন করেছেন তিনি। এমনকী বুদ্ধবাবু সম্পর্কেও কড়া সমালোচ💯না করেছেন। তবে বুদ্ধবাবুর মতো সৎ রাজনীতিবিদ পশ্চিমবঙ্গে খুব কম বলে মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজ, রবিবার তিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে গিয়েছিলেন।
ঠিক কী বলেছেন শুভেন্দু? বামফ্রন্টের জমানায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য যখন মুখ্যমন্ত্রী তখন বিরোধী আসনে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। আর বিধায়ক ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তখন তিনি বিস্তর আক্রমণও করেছিলেন। মতাদর্শগত পার্থক্যের পাশাপাশি বুদ্ধবাবুর বহু কাজের সমালোচনা♛ করা হতো। এবার অসুস্থ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখে বেরিয়ে সাংবাদিকদের শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ♉বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখলাম। পরিস্থিতিটা কিছুটা হলেও উন্নতি হয়েছে। এটাই আমাকে প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছে। বাকিটা চিকিৎসকদের উপর আমাদের ভরসা রাখা উচিত।’
এদিকে শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও এখনও বুদ্ধবাবু সংকটমুক্ত নন। শ্বাসকষ্টের তীব্র সমস্যা নিয়ে আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আজ, রবিবার তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী, বিꩲমান বসু, সুজন চক্রবর্তী, সূর্যকান্ত মিশ্র🍷–সহ অন্যান্যরা। তবে তৃণমূলের কাউকে দেখা যায়নি। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টেলিফোনে বুদ্ধবাবুর শারীরিক অবস্থা নিয়েয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: ‘আদিখ্যেতা করে মহাপুরুষ বানাবেন না’༺, বুদ্ধবাবুকে নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া কুণালের
আর কী বলেছেন বিজেপি বিধায়ক? বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আর যাই হোক বুদ্ধবাবুকে ‘চোর’ বলে কেউ আঙুল তুলতে পারবে না।’ আর গোটা বিষয়টি নিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিকদের বলেন, ‘যাঁরা আমরা ঈশ্বরে বিশ্বাস করি, তাঁরা ভগবানের কাছে প্রার্থনা করব। এমন একজন সৎ রাজনীতিবিদ এবং পশ্চিমবঙ্গের 👍জনমত নির্বিশেষে মানুষের শ্রদ্ধার ব্যক্তি তিনি যেন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারেন। আমি ওনাকে দর্শন করতে🌜 পেরেছি। চিকিৎসকরা আমাকে সাহায্য করেছেন। আমাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সবরকম সাহায্য করেছে। উনি এই মুহূর্তে যেখানে ভর্তি আছেন সেখানের কাচের পর্দাটা তুলে আমি ওনাকে দর্শন করেছি। পাঁচ মিনিট মতো দাঁড়িয়ে সমস্ত পর্যবেক্ষণ করেছি। ওদের পার্টির রবীন দেব আমাকে সমস্ত ব্রিফ করেছে। যথেষ্ট আন্তরিকতা দেখিয়েছে। সকলের প্রতি আমি নমস্কার জানাচ্ছি। উনি যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন আমি তখন বিধায়ক ছিলাম। এইরকম সৎ রাজনীতিবিদ পশ্চিমবঙ্গে খুবই কম।’