সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গিয়েছে, বিজেপির আসন সংখ্যা কমে ১২টি হয়েছে। ২০১৯ সালে এই সংখ্যাটাই ছিল ১৮। কেন কমল পদ্মের ফলন? আজ, শনিবার এই নিয়েই প্রথম বৈঠকে বসেছেন রাজ্য বিজেপির নওেতারা। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল পর্যালোচনা থেকে শুরু করে উপনির্বাচনের প্রার্থী বাছাই সবই হবে এখানে। সুতরাং এই বৈঠকে☂ যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। অথচ এমন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে গরহাজির রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি কোচবিহারে ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন। যদিও তাঁর এই সফর দলের পক্ষ থেকে পূর্বনির্ধারিত ছিল না বলে সূত্রের খবর।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সবচেয়ে বেশি যিনি মুখ খুলেছেন তিনি হলেন দিলীপ ঘোষ। তাতে অস্বস্তিতে পড়েছে বঙ্গ–বিজেপি নেতৃত্ব। আবার তা নিয়ে শুಞভেন্দুও নাম না করে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে ছিলেন দিলীপকে। ইতিহাস জানে না বলে নিশানা করেন শুভেন্দু। পাল্টা দিলীপ নিজের এবং দলের পরাজয়ের পিছনে কাঠিবাজি, ষড়যন্𝓡ত্রের তত্ত্ব তুলে ধরেন। হারা আসন জেতার পরিকল্পনা করে সব দল। কিন্তু এখানে জেতা আসন হারানোর পরিকল্পনা হয়েছিল বলে তুলোধনা করেন দিলীপও। সেখানে এমন বৈঠকে দিলীপের মুখোমুখি যাতে না হতে হয় তাই অনুপস্থিত শুভেন্দু বলে মনে করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: ‘আপনি দিল্লির বাংলো ছাড়বেন না’, কংগ্রেস হাইকমান্ডের নির্দেশ এল অধীরের দুয়ারে, কেনဣ?
সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর শুভেন্দুকে কড়া বার্তা দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আবার দিলীপ ঘোষের রাজ্য সভাপতি পদে প্রত্যাবর্তনের গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে। তাই কি অভিমানী শুভেন্দু? উঠছে প্রশ্ন। দিলীপ–সুকান্তদের এড়িয়ে যেতে চাইছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেও মনে করছেন কেউ কেউ। দলে থেকেই সমান্তরাল সংগঠন চালানোর অভিযোগ উঠেছে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে। তাই কদিন আগে শুভেন্দু বলেন, ‘ভাল হলে নিজেদের ক্রেডিট দেন। খারাপ হলে আমার ঘাড়ে দোষ চাপান। আমি কখনওই দলের অভ্যন্তরের বিষয় বাইরে♑ বলি না। আমার কাজ প্রচার করা। সাংগঠনিক ব্যাপারে আমি হস্তক্ষেপ করি না। ভবিষ্যতেও করার ইচ্ছে নেই।’ আর আজ, শনিবার দলীয় বৈঠকে শুভেন্দুর অনুপস্থিতি নতুন করে সং𝔍ঘাতের আবহ তৈরি করল বলে মনে করা হচ্ছে।