পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি নিয়ে রাজনৈতিক তরজা জারি রয়েছে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে। এরই মাঝে মুকুল রায় পিএসি চেয়ারম্যান হওয়ার প্রতিবাদে বড়সড় পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তা ভাবনা করছে বিজেপি। বিজেপি প্রথম থেকেই আশঙ্কা করেছিল যে গতবারের মতো এবারেও আইনের ফাঁক বের করে রীতিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পিএসি চেয়ারম্যান পদে নিজেদের দলেরই কাউকে বসাতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই আশঙ্কা সত্যি করেই পিএসি চেয়ারম্যান পদে মুকুল রায়ের নাম ঘোষণা করেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর প্রতিবাদে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউটও করেছিল বিজেপি। তবে সেখানেই যে গেরুয়া শিবির থমকে থাকবে না তা শুভেন্দু আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন আগেই।সূত্রের খবর, শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী সুর চড়াবে বিজেপি। বিজেপি সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুরে প্রথমে বিধানসভায় নিজের ঘরে বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপরই বিশদ আলোচনার পর বিধানসভার ৯টি কমিটির চেয়্যারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেবেন বিজেপি বিধায়করা। মুকুল রায় পিএসি চেয়ারম্যান হওয়ার প্রতিবাদেই এই গণ ইস্তফা দেবেন তাঁরা। এরপর সম্ভবত শুভএন্দুর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়কার যাবেন রাজভবনে। রাজ্যপালের কাছে অধ্যক্ষের নামে নালিশ করবেন তাঁরা।প্রসঙ্গত, সরকারের সমস্ত কাজের হিসেব রাখার দায়িত্ব থাকে পিএসি-র। সংসদীয় প্রথা হল এই কমিটির চেয়ারম্যান করা হয় বিরোধী দলের কোনও জনপ্রতিনিধিকে। লোকসভায় যেমন এখন ওই কমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এই নিয়ে তৃতীয়বার এমন একজনকে পিএসি-র মাথায় বসানো হল, যিনি খাতায়-কলমে বিরোধী দলের বিধায়ক হলেও শাসক দলের সঙ্গে রয়েছেন। এর আগে কংগ্রেস বিধায়ক হিসেবে মানস ভুঁইয়া ও শঙ্কর সিংকে এই পদ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা ততদিনে তৃণমূলে যোগদান করে ফেলেছেন। এবার মুকুল রায়ের ক্ষেত্রেও তাই হল।