বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বঙ্গ–সফরে এসে নেতাদের একসূত্রে ব෴াঁধতে চেয়েছিলেন। বার্তা দিয়েছিলেন গোষ্ঠীকোন্দল মিটিয়ে নেতাদের আন্দোলনমুখী হতে হবে। কিন্তু এই বার্তার পরও আজ দেখা গেল, রাজ্য কার্যনির্বাহী কমিটির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন দলের অন্যতম মুখপাত্র তথা উদ্বাস্তু সেলের চেয়ারম্যান মোহিত রায়।
তাহলে কী গোষ্ঠীকোন্দল অব্যাহত? বিজেপি সূত্রে খবর, এই মোহিত রায় আসলে দিলীপ ঘোষ গোষ্ঠীর। আর যে বিষয়টি নিয়ে সমস্যা তৈরি হয় সেখানে রয়েছে সুকান্ত মজুমদার গোষ্ঠী। ফলে মনোমালিন্য থেকেই এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেছেন মোহিত রায়। তাতেই আবার প্রকাশ্যে চলে এল দলের সর্বভাꦕরতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার শিবিরের গোষ্ঠীকোন্দল।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? বিজেপির স😼র্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার বঙ্গ–সফরের সময় কলকাতায় দলের রাজ্য কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে দিলীপ ঘোষ ২০ জুন ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু জবাবি ভাষণ দেওয়ার সময় রাজ্য বি🦋জেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী ওই প্রস্তাবিত কর্মসূচি নিয়ে কোনও কথা উল্লেখ করেননি। অমিতাভ চক্রবর্তী সুকান্ত মজুমদার শিবিরের নেতা বলেই পরিচিত। এখানেই গোষ্ঠীকোন্দলের সূত্রপাত।
কেন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন মোহিত রায়? সূত্রের খবর, এই ইস্যুটি বিজেপির কার্যনির্বাহী কমিটির ♔হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপে তোলেন মোহিত রায়। তখনই বিজেপির আইটি সেলের প্রীতম ভট্টাচার্য গ্রুপের সেটিংস বদলে দেন। সুতরাং গ্রুপ অ্যাডমিন ছাড়া অন্য কেউ গ্রুপে কিছু পোস্ট করতে পারবেন না। এই ঘটনায় প্রচণ্ড ক্ষেপে ওঠেন মোহিতবাবু। আর সঙ্গে সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে দেন। গ্রুপ ছাড়ার কথা সংবাদমাধ্যমে স্বীকার করেছেন তিনি। তবে আর কিছু বলেননি।