বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান কার্যত লাটে উঠেছে। কারণ অমিত শাহ টার্গেট দেন ১ মাসে ১ কোটি। বিজেপি রাজ্য নেতারা সবাই রাস্তায় নেমেও তা পূরণ হচ্ছে না। কঠিন এই পরিস্থিতি বুঝে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার উদ্যোগ নিলেন। তবে এই উদ্যোগ সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি। তাতে এই লক্ষমাত্রা পূরণ সম্ভব বলে মনে করছেন তিনি। তাই নয়াদিল্লির কাছে সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি জানানো হচ্ছে🦄। কিন্তু সেই লক্ষ্যপূরণ না করতে পারলে নয়াদিল্লিতে আয়োজিত মেম্বারশিপ পর্যালোচনা বৈঠকে স্থান পাবে না বঙ্গ–বিজেপি। এই আবহে সদস্য সংগ্রহে অভিনব পন্থা নিলেন বিজেপি রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। একটি বিয়েবাড়িতে আমন্ত্রিত শমীক নববধূকে বিজেপির সদস্য করলেন।
কিন্তু লক্ষ্য তো ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই যে হাল দেখা যাচ্ছে তাতে সে স্বপ্নও পূরণ হবে না। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বেঁধে দিয়েছেন লক্ষ্যমাত্রা। আর সেই টার্গেট পূরণ সম্ভব নয় বোঝা যাচ্ছে। তাই এব🌸ার বিয়েবাড়িতে গিয়েও সদস্য সংগ্রহ করলেন রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। তাও আবার কামারহাটির মতো এলাকায়। এই এলাকায় মদন মিত্র বিধায়ক। সুতরাং মদনের ‘ডেরায়’ গিয়ে পদ্ম ফোটালেন শমীক বলে মনে করা হচ্ছে। বাজছে সানাইয়ের সুর। ফুল দিয়ে সাজানো মঞ্চ। বিয়ে বাড়িতে আমন্ত্রিত অতিথিরাও আসছেন। আর সেখানেই নববধূ রাখি রায়কে মিসড কলের মাধ্যমে বিজেꦏপির সদস্যপদ গ্রহণ করালেন শমীক।
আরও পড়ুন: দীর্ঘ ১৩ বছর বন্ধ ছিল রানীগঞ্জ জুটমিল, মলয় ঘটকের মধ্যস্থতায় কবে কাজ চালু হচ্ছে?
অমিত শাহ ১ মাসে ১ কোটি সদস্য করার টার্গেট দিয়েছিলেন। অমিত শাহ নিজে সেই কর্মসূচির উদ্বোধন করেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে তা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। এখন তাঁরা সদস্য পাচ্ছেন না। বঙ্গ–বিজেপির নেতারা বলছেন, অন্য রাজ্যগুলি আড়াই মাস সময় পেয়েছিল। কিন্তু এই রাজ্যে দুর্গাপুজো ছিল। তাই সেই সময় মেলেনি। তবে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য বাংলার প্রত্যেকটি ভোটারকে বিজেপির সদস্য করা। বিজেপির সদস্য হতে অনেকেই আগ্রহ দেখিয়েছেন। তেমই একজন রাখি। নববধূর ইচ্ছেতেই তাঁকে সদস্য করা হয়েছে।’ শাহী টার্গেট পূরণে বঙ্গ বিজেপির কার্যত ঘুম ছুটেছ🍒ে।