এবার বিচারপতিদের ক্ষেত্রে প্রচ্ছন্ন হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির সর্বভারতীয় সভা🌸পতি জেপি নড্ডার বিরুদ্ধে। কারণ মাদ্রাজ হাইকোর্টের রায় নিয়ে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। তাই শেষ দফার নির্বাচনের আগে রাজ্যে প্রচারে এসে জগৎপ্রকাশ নড্ডা জানান, ষষ্ঠ দফার শেষেই পশ্চিমবঙ্গে সরকার গড়ার মতো আসন পেয়ে গিয়েছে বিজেপি। বাকি দুই শুধুমাত্র ব্যবধান বাড়ানোর লড়াই হচ্ছে। এদিন নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে করা মাদ্রাজ হাইকোর্টের ভর্ৎসনা নিয়েও মুখ খোলেন তিনি। করোনা নিয়ে মাদ্রাজ হ🎀াইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে জেপি নড্ডা জানান, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সবাই মতামত রাখতে পারে। তবে সব প্রতিষ্ঠানের উচিত ভাষা সংযত রেখে কথা বলা। এরপরই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের দাবি, এই মন্তব্য আসলে প্রচ্ছন্ন হুমকি দেওয়া বিচারপতিদের।
করোনাভাইরাসের জেরে পরিবর্তিত নিয়মের কারণে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় প্রচারের সময়সীমা শেষ হয়েছে। তার আগে কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক করে জেপি নড্ডা দꦿাবি করেন, ‘বাংলার মানুষ বিজেপিকে দু’হাত তুলে আর্শীবাদ করেছেন। আগামী ২ মে’র পর গেরুয়া পতাকাই উড়বে এই বাংলায়।’ নিউটাউনের এক পাঁচতারা হোটেলে সোমবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি🤪 এই কথা জানান।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনকে আজ মাদ্রাজ হাইকোর্ট যে ভꦡাষায় ভর্ৎসনা করেছে, তারও বিরোধিতা করতে শোনা যায় বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতিকে। দেশের করোনা পরিস্থিতির জন্য শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশনকেই দায়ী করে মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আপনাদের প্রতিষ্ঠানই এককভাবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য দায়ী। আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ‘সম্ভবত খুনের মামলা’ হওয়া উচিত।’ এই নিয়ে এদিন নড্ডাকে বলতে শোনা যায়, ‘এটা মাদ্রাজ হাইকোর্টের রায় না পর্যবেক্ষণ? আমি একটাই বলব, বিচারপতিদের ভাষা সম্পর্কে সতর্ক থাকা উচিত।’