𒐪 বুধবার রাতে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় বিজেপি কর্মী রথীবালা আড়ি খুনে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সরাসরি অভিষেকের বিরুদ্ধে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি। সঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, ভারতীয় জনতা পার্টি এর শেষ দেখে ছাড়বে।
আরও পড়ুন: ♔তৃণমূল সরকারের জমানায় জারি ৫ লক্ষ OBC শংসাপত্র বাতিল বলে ঘোষণা করল হাইকোর্ট
পড়তে থাকুন: 🔯আদালতের রায় মানি না, OBC সংরক্ষণ চলছে, চলবে, প্রকাশ্য মঞ্চে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
🐽এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দুবাবু লেখেন, ‘সনাতনী শহীদ বীরাঙ্গনা রথীবালা আড়ি অমর রহে। গতকাল রাতে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ার মনসাবাজার এলাকায় বিজেপি কর্মীরা বুথ পাহারা দিচ্ছিলেন। সেইসময় ধারাল অস্ত্র নিয়ে তাঁদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তৃণমূলী দুষ্কৃতীরা। ৭ জন ধারাল অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন। প্রাণ হারান রথীবালা আড়ি। গতকাল ভাইপো নন্দীগ্রামে যে উস্কানি দিয়ে গেছে তার প্রত্যক্ষ পরিণাম হচ্ছে এই রক্তপাত। পরাজয় নিশ্চিত বুঝে এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তৃণমূল। একজন মহিলা কে কুপিয়ে খুন করতে এই জিহাদিদের হাত কাঁপে না !'
⛄তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু লেখেন, 'ভারতীয় জনতা পার্টি এর শেষ দেখে ছাড়বে, আইনত ভাবে প্রতিশোধ হবে ও গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জবাব দেওয়া হবে। নন্দীগ্রামের সংগ্রামী ভূমিতে যে ঝরিয়েছে রক্ত, ইতিহাসের পাতায় বিলীন হয়েছে পেয়ে জবাব উপযুক্ত। রথীবালা আড়ি কে জানাই প্রণাম ও শ্রদ্ধা।’
▨বুধবার রাতে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ার মনসাবাজারে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালায় মোটরসাইকেলে করে আসা জনা পঞ্চাশেক দুষ্কৃতী। বিজেপির দাবি, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে। পালটা তৃণমূলের দাবি, এটা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ। এই ঘটনায় ৯ জন বিজেপি কর্মী আহত হন। তাঁদের মধ্যে রথীবালা আড়িকে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। তাঁকে ধারাল অস্ত্র ও রড দিয়ে মারধর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত হয়েছন রথীবালার ছেলেও। তাঁকে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ꦡপিছিয়ে থাকা সম্প্রদায়ের সংরক্ষণ ছিনতাই করে মুসলিমদের দিয়েছেন মমতা: অমিত শাহ
ꦓআগামী শনিবার নন্দীগ্রামে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। তার আগে এই খুনের ঘটনায় উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নাকানি চোবানি খেতে হচ্ছে পুলিশকে।