ভাঙড়ে পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিল এক কিশোর। গ্রিন করিডর করে সেখান থেকে তাকে নিয়ে আসা হয়েছিল কলকাতার হাসপাতালে। তা সত্ত্বেও বাঁচানো গেল না কিশোরকে। মৃত কিশোরের নাম জাহিদুল মোল্লা (১৬)। বাইকের সঙ্গে ভ্যানের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়েছিল এই কিশোর। কলক🅷াতায় নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য, এই নিয়ে এক সপ্তাহে ভাঙড় ডিভিশনে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ৪ জনের।
আরও পড়ুনঃ গরুর গাড়ির সঙ্গে বাইকের ধাক্কাಞ, মৃত্যু আইআইটি রুরকির ২ ছাত্রের
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কিশোর ভাঙড়ের কৃষ্ণমাটি গ্রামের বাসিন্দা। এই ঘটনায় তার পরিবারে শোকের ছায়া নেমেছে। জানা গিয়েছে, ওই কিশোর পেশায় বাইকের মেকানিক। জাহিদুল পিঠা পুকুর এলাকায় একটি বাইকের গ্যারেজে কাজ করত সে। কাজের সূত্রেই রাতে বাইকে করে কিছু পার্টস আনতে গিয়েছিল পাকাপোল বাজারে। সেখান থেকে ফেরার সময় দ্রুত গতিতে বাইকে সে আসছিল। সেই সময় উলটো দিক থেকে একটি ভ্যানও দ্রুত গতিতে আসছিল। তখন ভ্যানটি তাকে ধাক্কা মারে। গুছুড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে তার বাইকের সঙ্গে ভ্যানের ধাক্কা লাগে। অভিযোগ, ভ্যানে কোনও হেডলাইট ছিল না। এর ফলে ঘটনাস্থলে বাইক থেকে ছিটকে পরে কিশোর। তার মাথায় গুরুতর চোট লাগে। মাথা দিয়ে রক্ত বের হয়। তাকে উদ্𒀰ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। কিন্তু অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। এদিকে পুলিশ বিꦗষয়টি জানতে পেরে কিশোরকে যাতে তড়িঘড়ি কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে পৌঁছানো যায় তার জন্য গ্রিন করিডর করার সিদ্ধান্ত নেই। সেই মতোই তাকে ভাঙড় থেকে গ্রিন করিডর করে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার হাসপাতালে। কিন্তু সেই পথেই নিউটাউনে মৃত্যু হয় কিশোরের।
জানা গিয়েছে, ওই কিশোরের বাইকের লাইসেন্স ছিল নღা। তাছাড়া তার মাথায় হেলমেটও ছিল না। প্রসঙ্গত, গত এক সপ্তাহে এই নিয়ে ভাঙড়ে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল চারজনের। এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি কাশিপুর থানার জয়পুর গ্রামে বাইক ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছিল। তার পরের দিন দুর্ঘটনা ঘটেছিল বাগজোলা খালপাড়ের জমিরগাছিতে। সেখানে ডাম্পারের সঙ্গে বাইকের ধাক্কায় ননদ এবং বৌদির মৃত্যু হয়। এমন অবস্থায় ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। তাদের বক্তব্য ভাঙড় কলকাতা পুলিশের অধীনে আসলেও সেখানে পথ দুর্ঘটনা কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না।