প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট🦄্টাচার্যের স্মরণসভায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ করা হয়নি। এমনকী তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ–বিধায়ককে ডাকা হয়নি আলিমুদ্দিনের তরফে। রাজনৈতিক সংকীর্ণতার গণ্ডি ছেড়ে বেরোতেই পারল না সিপিএম বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বিজেপি ও কংগ্রেসকে আমন্ত্রণ করেছে সিপিএম নেতারা। তবে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে হাজির হলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং তাঁর দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে অত্যন্ত ভাল সম্পর্ক ছিল বুদ্ধবাবুর। সে কথা আগেও বলেছিলেন দেশের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক। এবার তাঁকে সরাসরি দেখা গেল𒉰 বুদ্ধবাবুর স্মরণসভায়।
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের কাউকে না আমন্ত্রণ জানানোয় আলিমুদ্দিনের নেতাদের সৌজন্য নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। কারণ যেদিন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য প্রয়াত হয়েছেন সেদিন ছুটে গিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এমনকী বিধানসভায় খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়–সহ রাজ্য মন্ত্রিসভার একাধিক মন্ত্রী বুদ্ধবাবুক🐎ে শেষ শ্রদ্ধা জানান। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন সেদিন। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সবরকম সহযোগিতা করা হয়েছিল। সেখানে রাজ্যের কোনও ♊মন্ত্রী আমন্ত্রণ পেলেন না। এই বিষয়ে সিপিএম নেতা রবীন দেব বলেন, ‘তৃণমূল এবং বিজেপিকে দলগতভাবে আমন্ত্রণ করা হয়নি। রাজ্য পার্টি অফিসে শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলের যাঁরা শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন, তাঁদের ব্যক্তিগতভাবে আমন্ত্রণ করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ‘তাকে কি বসিয়ে স্যালারি 𓆏দেবেꦺ সরকার?’ সন্দীপকে সামনে রেখে সরকারপক্ষে পোস্ট দেবাংশুর
অন্যদিকে আলিমুদ্দিনের পার্টি অফিসে শ্রদ্ধা জানাতে এসে🦄ছিলেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। তাই শমীককে ব্যক্তিগতভাবে আমন্ꦅত্রণ করা হয়েছে। বুদ্ধবাবুর স্মরণসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হবে কিনা সেটা নিয়ে দলের মধ্যেই দ্বিমত ছিল। শেষ পর্যন্ত আমন্ত্রণ না করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। এই বিষয়কেই সিপিএমের সৌজন্যের অভাব বলে মনে করছেন অনেকে। অথচ যতবার বুদ্ধবাবু অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ততবার দেখতে ছুটে গিয়ে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গাপুজোর আগে বাড়িতে গিয়েও দেখা করে আসতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন কিনা তা নিয়ে বারবার গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও দলেই যোগ দেননি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বরং সব রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক সৌরভের। একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও জল্পনা তৈরি হয়েছিল যে, তিনি রাজনৈতিক দলে যোগ দিচ্ছেন কিনা। যদিও শেষ পর্যন্ত সে সব জল্পনায় ইতি পড়েছে। আগে বামফ্রন্ট সরকারের আমলে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ছাড়াও প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্যের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল স🌺ৌরভের। এখনও যে সুসম্পর্ক লালপার্টির সঙ্গে আছে স্মরণসভায় আমন্ত্রণ পাওয়ায় সেটা স্পষ্ট।