চিকিৎস﷽ায় সাড়া দিচ্ছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এখন আগের চেয়ে অনেকটাই সুস্থ🐠 রয়েছেন বুদ্ধবাবু। জ্ঞান রয়েছে। কথাও বলেছেন। তাঁকে খাবারও দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের তরফে দেওয়া মেডিক্যাল বুলেটিনে এমনটাই জানানো হয়েছে। তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা আগের থেকে বাড়লেও এখনও তা সন্তোষজনক বলা চলে না।
মঙ্গলবার দুপুরে যখন তাঁকে দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করানো হয়, সেই সময় তাঁর ไশরীরে অক্সিজেনের মাত্রা নেমে দাঁড়িয়েছিল ৯০ শতাংশেরও নীচে। শ🌟্বাসকষ্টের সমস্যায়ও ভুগছিলেন তিনি। তাঁর চিকিৎসার জন্য ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। এরপর বাইপ্যাপ সাপোর্টে রাখা হয় বুদ্ধদেববাবুকে। চিকিৎসকরা রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে দেখেন, তাঁর রক্তচাপ স্বাভাবিক রয়েছে। তাঁর মূত্রনালিতেও কোনও সমস্যা ধরা পড়েনি। এর পরই তাঁর সিটি স্ক্যান-সহ অন্যান্য শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। ফুসফুসে কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন চিকিৎসকরা। যত সময় গড়িয়েছে, ততই তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। শরীর কিছুটা ভাল হতেই বাড়ি ফেরার জন্য অস্থির হয়ে পড়েন তিনি। আপাতত চিকিৎসকরা তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছেন।
অন্য দিকে, বুদ্ধদেববাবুর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যকেও পুনরায় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায়, দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন মীরাদেবী। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছি﷽লেন তিনি। কিন্তু ফের তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। বমি ও প্যানিক অ্যাটাকের সমস্যার জন্যই হাসপাতালে ভরতি হতে হয় তাঁকে। তাঁর শারীরিক অবস্থাও আপাতত স্থিতিশীল রয়েছে।